আকস্মিক হৃদরোগে যা করবেন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫০ এএম
প্রতীকী ছবি
নবীন থেকে প্রবীণ, বয়স্ক থেকে তরুণ- একযোগে সবাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। চিকিৎসকরা বলে থাকেন, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ এবং অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের পরিণতিতে হৃদরোগ হয়। হৃদরোগের বেশ কিছু প্রধান উপসর্গ রয়েছে। এগুলো হলো- প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা, বুকে অস্বস্তি, কফ ও শুকনা কাশি, মাথা ঝিমঝিম করা, অবসাদগ্রস্ততা (নারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রকট আকার ধারণ করে), বমি বমি ভাব কিংবা ক্ষুধামন্দা, শ্বাসকষ্ট, ঘাম হওয়া, স্ফীতি ও দুর্বলতা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হৃদরোগ খুবই সামগ্রিক একটি রোগ। যার মধ্যে অনেকগুলো বিষয় কাজ করে। কিন্তু যেহেতু ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ একটি কঠিন রোগ, সে কারণে আমরা রোগটি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি।
হৃদরোগের কারণ: পরিবারে কারো হৃদরোগ থাকলে আপনারও এর ঝুঁকি আছে। তাই পরিবারে কারো ৬০ বছর বয়সের আগে এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে সতর্ক হওয়া উচিত।
সেক্ষেত্রে বয়স ৩০ পেরোলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রসঙ্গত, আরো কয়েকটি কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যেমন- ১. ধূমপান ২. অনিয়ন্ত্রিত বহুমূত্র (ডায়াবেটিস) ৩. উচ্চরক্তচাপ ৪. কোলেস্টেরল বেশি থাকা প্রভৃতি।
আকস্মিক হৃদরোগ দেখা দিলে করণীয়: ১. জরুরি ভিত্তিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। ২. হৃদরোগের পর পরই রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন। পরনের জামা-কাপড় ঢিলা করে দিন। ৩. রোগীর শরীরে বাতাস চলাচলের সব রাস্তা উন্মুক্ত করে দিতে হবে, যাতে রোগী গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন। ৪. হৃদরোগের পর যদি রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে। ৫. রোগী বমি করলে তাকে একদিকে কাঁত করে দিন। যাতে সহজেই সে বমি করতে পারে।