×

পুরনো খবর

এই ঈদেও শাড়ি পাঞ্জাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ১১:৫৭ এএম

এই ঈদেও শাড়ি পাঞ্জাবি

পোশাক ও ছবি : বর্ণন লাইফস্টাইল, ডিজাইনার: ফারজানা মইন মিহান

এই ঈদেও শাড়ি পাঞ্জাবি
এই ঈদেও শাড়ি পাঞ্জাবি
এই ঈদেও শাড়ি পাঞ্জাবি
বৃষ্টি ও কাঠফাটা রোদ নিয়ে এ সময়ের আবহাওয়া যেন কনট্রাস্ট নেচারে রূপ নিয়েছে। বিরূপ হলেও এই দুই ঋতুর মেলবন্ধন দেখা যাবে ঈদের পোশাকে। ডিজাইনাররাও উৎসব এবং আবহাওয়াকে মাথায় রেখেই তৈরি করেছে তাদের কালেকশন। আর ফ্যাশন সচেতনরাও চান উৎসবের সময় নিজেদের সাধ্য এবং সাধের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পোশাকটি। এ ক্ষেত্রে মেয়েরাই এগিয়ে। মেয়েদের পোশাকের কথা ভাবলেই প্রথমে চলে আসে শাড়ি। আর শাড়ি বরাবরই বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক। শাড়িতে এবার অনেক বেশি রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। তবে তেমন নতুনত্ব নেই ডিজাইনে। আর পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে ওই অর্থে পরিবর্তন খুব একটা নেই। কেননা ছেলেদের পোশাকে খুব বড় পরিবর্তন খুব কমই হয়েছে এই ঈদের নতুন কালেকশনে। গ্রীষ্মের গরম মাথায় রেখে ডিজাইনারা বেশিরভাগই কাপড় হিসেবে বেছে নিয়েছেন সুতি জাতীয় কাপড়গুলোকে। এর ওপর ব্লক-বাটিক, এমব্রয়ডারি, ডিজিটাল প্রিন্ট, ট্যাসেল, হাতের কাজ, কাঁথার ফোঁড়সহ নানা ডিজাইনের কাজ ফুটে উঠেছে এবার। তাঁতিদের নিজস্ব ডিজাইনের জামদানি, টাঙ্গাইল ও কাতান শাড়িও আছে। ব্যবহার করা হয়েছে জারদৌসি, কারচুপি, ক্যাটওয়ার্ক ও প্যাচওয়ার্ক। শাড়ির রঙেও এবার দারুণ বৈচিত্র্য লক্ষণীয়। তাঁতের শাড়িতে থাকছে অনেক ধরনের মোটিফের ব্যবহার। পাশাপাশি পাঞ্জাবির কাটে ট্রাডিশনাল ও ওয়েস্টার্নের ফিউশন চোখে পড়ছে ব্যাপক হারে। শাড়ির মধ্যে পছন্দের তালিকায় আবারও আছে জামদানি, সিল্ক, হাফ সিল্ক, সিল্ক জামদানি শাড়ি, তাঁত ও মসলিনগুলো। দেশীয় ট্রাডিশনাল ডিজাইনের শাড়িগুলো এবার বেশি চোখে পড়ছে। একই সঙ্গে এসেছে হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়ির কালেকশন। গরমে সুতি শাড়ি মানেই আরাম। ঈদে দিনের বেলায় যেমন সুতি শাড়ি দেখা যাবে, তেমনি রাতের পার্টিতে দেখা মিলবে সিল্ক, জর্জেটের বাহার। সুতির ক্ষেত্রে তাঁতের শাড়িই সবার আগে। এখন এ ধরনের শাড়িতেও দেখা যায় বৈচিত্র্য। যেমন হাতের কাজ, মেশিনের কাজ, কখনো স্ক্রিন বা ব্লক প্রিন্ট, কখনো হ্যান্ড পেইন্ট। এমনকি ফ্লোরাল ও জিওমেট্রিক প্যাটার্নও দেখা যাবে শাড়ির জমিনে। রাতের শাড়িতে মসলিন প্রাধান্য পেতে পারে। শাড়িতে এমব্রয়ডারি, পাড়ে বসানো বড় প্লিট, কখনো আর্টিফিশিয়াল ফেদার, কাটওয়ার্ক, পুঁতি ও জরির কাজ বা এ্যাপ্লিক। সিল্কের শাড়িতে হাতের কাজ বেশি দেখা যাবে। তার মধ্যে মেশিন ও হাতের এমব্রয়ডারিই বেশি থাকবে। আবার কনট্রাস্ট ফ্যাব্রিকের শাড়িও রয়েছে ট্রেন্ডে। রয়েছে অর্ধেক সিল্ক এবং অর্ধেক মসলিন শাড়ি। জর্জেটের শাড়িতে ফ্লোরাল প্রিন্ট, তার মধ্যে হালকা অ্যাম্বেলিশমেন্ট দেখা মিলবে। আবহাওয়ায় গ্রীষ্মের প্রভাব বেশি থাকলেও রাতের পার্টিতে শাড়ির সঙ্গে পরে নিতে পারেন জ্যাকেট। তবে সেটি হতে হবে হালকা ওজনের কাপড়ে তৈরি। আর যারা জ্যাকেট এড়িয়ে চলতে চান, তারা চাইলে ট্রেন্ডি লুকের জন্য বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন। এবারের ঈদে ছেলেদের খাটো ও লম্বা দুই ধাঁচের পাঞ্জাবিতে প্রাধান্য পেয়েছে হাতের কাজ আর ছাপা নকশা। পাশাপাশি আছে এক রঙের পাঞ্জাবিও। পাঞ্জাবিতে লিনেন, রিমি কটন, ফাইন কটনের পাশাপাশি সিল্কের পাঞ্জাবিরও চাহিদা আছে। তবে লম্বা এ লাইন কাটের পাঞ্জাবিগুলোই সবাই পছন্দ করছেন। আর পাঞ্জাবিতে উৎসবের আমেজ আনতে কলার, কাফে, বাটন প্লেটে, বুকের একপাশে করা হয়েছে নানা রকম ডিজাইন। ফ্যাশন সচেতন তরুণদের কথা মাথায় রেখে এমব্রয়ডারি ও সুই-সুতার কাজ যেমন করা হয়েছে, তেমনই আলাদা কাপড় জোড়া দিয়েও আনা হয়েছে নতুনত্ব। পুরো পাঞ্জাবিতে ছাপা নকশা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তবে প্রতিবারই অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন দেখা যায়। এ বছর নকশা হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ফুলেল মোটিফ ও জ্যামিতিক মোটিফের নানা ধরন। এর বাইরে ট্রপিক্যাল বা লতাপাতা, শাখা-প্রশাখা জাতীয় নকশাও থাকবে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, কয়েক দশক ধরে ব্যান্ড কলারের পাঞ্জাবিই আমাদের দেশে জনপ্রিয়। আর তাই কলারেই সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। কয়েক বছর ধরে চলতি ধারায় কলার আর কাফ বা হাতায় নকশা করা একরঙা পাঞ্জাবি রয়েছে। কলার আর কাফের এই নকশারও রয়েছে রকমফের। এছাড়াও এমব্রয়ডারি, জারদৌসি থেকে শুরু করে কাঁথাস্টিচ, ক্রুশকাঁটার কারুকাজও দেখা যায়। এ ছাড়া ভেলভেট বা ভিন্ন ধরনের ছাপা নকশার কাপড়ও জুড়ে দেওয়া হয় গলার নকশায় আর কাফে। ভিন্ন নকশার পাঞ্জাবি দিয়ে স্টাইল স্টেটমেন্টে নিজস্বতাও আনা যায়। যেমন কলারবিহীন বা গোলগলা, স্যাট কলার, কাবলি, হাইনেক, শাহি কলার পাঞ্জাবিও রয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ঈদ সংগ্রহে। একসময় কলারবিহীন বা গোলগলা সাদা পাঞ্জাবিই ছিল ফ্যাশন, যা আবার ফিরে আসছে। তবে রঙে এসেছে পরিবর্তন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App