×

পুরনো খবর

বরিশালে নির্ভার নৌকার প্রার্থী, শঙ্কায় প্রতিদ্বন্দ্বীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ০৮:৫১ এএম

বরিশালে নির্ভার নৌকার প্রার্থী, শঙ্কায় প্রতিদ্বন্দ্বীরা
রাত পোহালেই ভোট। সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ছাড়া বাকি ৬ মেয়র প্রার্থীর মধ্যেই শঙ্কা বিরাজ করছে। ভোটে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে ফলাফল পাল্টে দিতে পারে এমন শঙ্কাই বিরোধীদের মুখে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবিও এসেছে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর কাছ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোটযুদ্ধ। বিরোধী প্রার্থীদের অভিযোগের তীর প্রশাসনের দিকে। তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। নির্বাচন কমিশন বিরোধী প্রার্থীদের কোনো অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না। সিভিল প্রশাসন নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সরকারি দলের নেতাকর্মী দ্বারা কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা রয়েছে তাদের। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সরকারি দলের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে- এমন দাবি তার। ভোটারদের সঠিক সময়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান রয়েছে তার পক্ষ থেকে। তিনি জানান, বিরোধীরা নৌকার বিজয় নিশ্চিত হওয়ায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা আবোল-তাবোল বকছে। নানা অভিযোগ উত্থাপন করছে, যাতে সত্যের লেশমাত্রও নেই। ভোটারদের এমন অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভোটারদের উদ্দেশে তার দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সবাইকে একযোগে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। উল্টো সুর জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসের মুখে। ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, যেভাবে আওয়ামী লীগের বহিরাগত নেতাকর্মী বরিশাল শহরে এসেছে, সেটা শঙ্কার বিষয়। কোনো হোটেল-মোটেল বাকি নেই যেখানে তাদের অবস্থান নেই। বিশেষ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকরা একেবারে ‘ন্যাকেডলি’ নৌকার পক্ষে কাজ করছে। ভোটারসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে মিলেমিশে প্রচারণা চালাচ্ছে। আমার মনে হয় না সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। গুণ্ডা-হুন্ডা ও সরকারি মদতের কাছে সাধারণ মানুষ কীভাবে পারবে- এ প্রশ্ন তার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার দিকেই যাচ্ছে। আমাদের কিছু লোককে হয়রানি করা হচ্ছে। টুপি-দাড়ি দেখে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে- কোথায় বাড়ি, আসছেন কেন? প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতি উৎসাহী হয়ে অন্য কিছু না করাই ভালো। নির্বাচন যদি কোনো অবস্থায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়, ক্লিন না হয় এবং যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ আন্দোলনের অবস্থা ভিন্ন দিকে মোড় নেবে। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন বলেন, বর্তমান সরকার ও তার অধীনস্থ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তারা দুদককে দিয়ে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়। আমাকে নিয়েও তারা চিন্তিত। এছাড়া ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের সঠিক ফলাফল দেয়া সম্ভব নয়। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়াইয়ে থাকার কথা বলেন। জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি আরো কঠোর হয় তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। ইভিএমে ভোটের বিষয়টি ভোটারদের ভালোভাবে জানাতে পরামর্শ তার। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান বলেন, সারাদেশের ভোটারদের ইভিএমে আস্থা নেই। তিনিও সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানিয়ে বলেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে মাঠে থাকবেন এবং সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন। আরেক মেয়র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এখানকার ভোটাররা যেহেতু ইভিএম বোঝে না- তাই ইভিএম না থাকলে আরো ভালো হতো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App