×

পুরনো খবর

ইবিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ছাত্রী হলে বিক্ষোভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৬ এএম

ইবিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ছাত্রী হলে বিক্ষোভ
ইবিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ছাত্রী হলে বিক্ষোভ
ইবিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ছাত্রী হলে বিক্ষোভ

মধ্যরাতে আন্দোলনে নামে ইবি ছাত্রীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের এক সিনিয়র ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই ছাত্রীকে রক্ষা করতে এলে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছেন হলটির ছাত্রীরা। প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রী হলের মধ্যে আন্দোলন করেন। রাত ৮টার দিকে প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলে ব্যর্থ হন।

পরে রাত ১১টার দিকে প্রভোস্টের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করে। আজ শুক্রবার সকালে ছাত্রীদের সঙ্গে বসে শান্তিপূর্ণ সমাধান করার আশ্বাসে দিলে ছাত্রীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে। এর আগে রাত ১০টার দিকে সৈয়দা সায়মা রহমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হলে থেকে মেডিকেলে পাঠানো হয়।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথি বলেন, শুক্রবার সকালে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি বিষয়টি সমাধান হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় হলের ছাত্রীরা হলগেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তারা ছাত্রী হেনস্তার বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতার সুপারিশে গণরুম থেকে হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নং কক্ষের সিটে উঠেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সৈয়দা সায়মা রহমান। ওই ছাত্রী কক্ষের পছন্দমতো সিটে থাকার দাবি জানান। এতে কক্ষের অন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে অন্য সিটে থাকতে বললে থাকতে রাজি হননি।

এসময় হলের সিনিয়র বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের পপি আক্তার ও হলের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন তারা। বিক্ষোভকারীরা ওই ছাত্রীর সিট বাতিলের দাবি করে স্লোগান দেন।

এর সূত্র ধরে সায়মা তার ছেলে বন্ধু ছাত্রলীগকর্মী মেহেদী হাসান হাফিজকে জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শাখা ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজ, শাহীন আলম ও মাসুমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী প্রধান ফটকের সামনে পপি আক্তারের গতি রোধ করে।

তারা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সহযোগী। এসময় পথ আটকে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চান হাফিজ। একপর্যায়ে হাফিজ পপিকে মারতে চান বলে অভিযোগ করেন পপি। এসময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধু আইসিটি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পথিক প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করেন তারা।

ভুক্তভোগী পপি আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হলের নিয়ম অনুযায়ী ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলি। সে তার ছেলে বন্ধুকে জানালে তারা প্রথমে আমাকে বান্ধবীর মাধ্যমে হুমকি দেয়। পরে বিকালে হেনস্তা করে।এসময় প্রতিবাদ করলে আমার বন্ধুকে মারধর করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App