×

পুরনো খবর

আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, ন্যায় বিচার পাইনি: প্রদীপ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২, ০৩:২২ পিএম

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণার পর কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি চিৎকার করে বলেন, আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। আমি নির্দোষ। আমি কোনো অপরাধ করিনি, দুর্নীতি করিনি।

বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া সময় বারান্দায় চিৎকার করে বলেন প্রদীপ কুমার দাশ।

তিনি বলেন, সিনহা হত্যা মামলায় যে রায় দেয়া হয়েছে সেখানে আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আপনারা সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করে দেখেন।

আমি মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের জন্য যুদ্ধ করেছি, যাতে কোনো ‘ঐশী’ তৈরি না হয়। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, যাতে যুবসমাজ ধ্বংস না হয়।

মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত বলেন, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার সেলিম এলাহীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। মামলায় সাক্ষী করা হলেও সেলিম এলাহী সাক্ষ্য দেননি। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে দুইজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে আদালতে জেরা করা হয়। বাকি ২২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছে। তারা মামলা সম্পর্কে অবগত নয়। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করব।

অন্যদিকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, প্রদীপ কুমার দাশ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ঘুষ-দুর্নীতি ও ক্ষমতার ব্যবহার করে যেসব সম্পদ অর্জন করেছেন সেগুলো স্ত্রীর মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। সেটা আদালতে ২৪ জন সাক্ষীর মাধ্যমে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালত সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে বলেছেন, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে এই অপরাধ করেছেন। তাই আদালত তাদের শাস্তি দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট, সেটা কার্যকর চাই।

আজ সকাল সোয়া ১১টায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারনকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App