×

জাতীয়

সন্তানের সামনে হত্যা: সাবেক এমপি আউয়াল ৪ দিনের রিমান্ডে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২১, ০৫:১৯ পিএম

সন্তানের সামনে হত্যা: সাবেক এমপি আউয়াল ৪ দিনের রিমান্ডে

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এমএ আউয়াল। ফাইল ছবি

রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়ালকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এমএ আউয়ালকে আদালতে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে এই মামলায় একই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তিন আসামি- সুমন বেপারী, রকি তালুকদার ও মুরাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৬ মে পল্লবীতে নিজ শিশু সন্তানের সামনে চাপাতি ও রামদাসহ অন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় এমএ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আরও ১৪-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে মানিক বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন।

৪-৫ দিন আগে আউয়ালের কলাবাগানের অফিসেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়। এ সময় তাহের ও সুমন বাহিনীর প্রধান সুমন বেপারীসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিল। হত্যা বাস্তবায়নে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় সুমনকে। তার নেতৃত্বে ১০-১২ জন সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে (২০ মে) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির লিগ্যাল আন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আল মঈন।

এর আগে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- সাবেক এমপি এমএ আউয়াল, হাসান, জাহিরুল ইসলাম বাবু, সুমন বেপারী ও রকি তালুকদার। এর আগে র‌্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে গ্রেফতার হয় মুরাদ ও দিপু। দুই দিনের রিমান্ড শেষে মুরাদকে বৃহস্পতিবার ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।

র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ হত্যাকাণ্ডে ৩০ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে।টিটুর মাধ্যমে সুমনের কাছে টাকা আসে। ১৫ মে সুমন ও বাবুসহ হত্যা মিশনে অংশগ্রহণকারীরা শলাপরামর্শ করে। ১৬ মে বিকালে তারা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। পূর্ব বিরোধ মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে সেখানে ডেকে আনা হয়। এ সময় সাহিনের সাত বছরের সন্তান মাশরাফিও সঙ্গে ছিল। সাহিন ঘটনাস্থলে আসার পর সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশু সন্তানের সামনেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App