×

জাতীয়

জলবায়ু নীতিতে ভুক্তভোগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৩৪ পিএম

জলবায়ু নীতিতে ভুক্তভোগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে

সিপিআরডি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা

জাতীয়ভাবে নির্নীত অবদান বা ন্যাশনাল ডিটারমাইণ্ড কনট্রিবিউশনস (এনডিসি) সহ জলবায়ু বিষয়ক যে কোন নীতি প্রণয়নে ঝুঁকিতে থাকা ও ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একইসঙ্গে তা আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ও বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে।

সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলার স্বার্থে কার্বন নির্গমণ কমাতে উন্নত দেশগুলোর উপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন সিপিআরডি ‘র নির্বাহী প্রধান মো. শামসুদ্দোহা। আলোচনায় অংশ নেন পিকেএসএফ’র ক্লাইমেট চেঞ্জ ইউনিটের পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরি, ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের (সিসিজেএফ) সভাপতি কাওসার রহমান, সুন্দরবন ও উপকুল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র, কোষ্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি)’র নির্বাহী প্রধান সৈয়দ জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম এবং সিপিআরডি’র কোষাধ্যক্ষ রাবেয়া বেগম ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট আল ইমরান।

সংবাদ সম্মেলনে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, বাস্তবায়নযোগ্য ও যুগোপযোগী এনডিসি প্রণয়ণের ওপর গুরুত্বারোপ করে মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ক্লাইমেট ভন্ডারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ার করায় বাংলাদেশের সিভিএফভুক্ত দেশগুলোকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রাল অর্থনীতির রাষ্ট্র হওয়ার পথে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। অবশ্য সরকার ইতোমধ্যে ‘মুজিব ক্লাইমেট পারসপেক্টিভ প্ল্যান-২০৩০’ ঘোষণা করেছে। যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির উর্ধ্বমূখী প্রবণতার ফলে নেতিবাচক প্রভাবে আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ বাড়ছে। মানুষের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিগ্রস্থ হচ্ছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে। অথচ কার্বন উদগীরণের মাত্রা কমানোর জন্য ধনী দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা দায়ভার এড়িয়ে গেছে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

জলবায়ু বিষয়ক বৈশ্বয়িক নানান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ বলেন, এ পর্যন্ত গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত উন্নত দেশগুলোর স্বার্থে হয়েছে। তাই দরিদ্র দেশগুলোতে কার্বণ কমোনার পাশাপাশি ধনী দেশগুলোর উপর এ সংক্রান্ত চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক ফোরামে আরো সক্রিয় হতে হবে। নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নেতৃত্ব, অবকাঠামো উন্নয়ন ও কার্বন কামানোর বিষয়টি বিবেচনায় বাংলাদেশের এনডিসি প্রণয়নের সুপারিশ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সর্বজন গ্রহণযোগ্য পুনর্মূল্যায়িত এনডিসি তৈরির লক্ষ্যে সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, কৃষির মতো দেশের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল কোনো খাতকে এনডিসিতে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। গ্রীণ হাউজ গ্যাস ভুক্ত নতুন কোন গ্যাসের উদগীরণ হ্রাসের টার্গেট নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এনডিসি পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অংশীজনের জ্ঞান এবং যুক্তিযুক্ত প্রস্তাবনাকে বিবেচনায় নিতে হবে। এনডিসি পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণ মূল করতে দেশের নাগরিক সমাজ, গবেষক, উন্নয়ন কর্মী ও উন্নয়ন সহযোগীদের যুক্ত করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App