×

জাতীয়

সোমবার ঢাকায় আসছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২১, ০২:৪৩ পিএম

দুদিনের সফরে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী আগামীকাল সোমবার ঢাকয় আসছেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রবিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশে এটাই প্রথম নেপালের কোনো রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক সফর।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তার এ সফর। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের জনগণের শুভেচ্ছার নিদর্শন রাখতে আসছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতিরা আসছেন। এর আগে ১৮ মার্চ প্রথম অতিথি হিসেবে আসেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। ১৯ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃতীয় দিনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। ২০ মার্চ বাংলাদেশে আসেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন।

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী সফরকালে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নেপালের জনগণ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা বঙ্গবন্ধুকে গোটা মানবজাতির নিপীড়িত মানুষের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। বিদ্যা ভান্ডারী তার দেশের জনগণের এ বার্তা বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ও জনগণের কাছে পৌঁছে দেবেন। তিনি ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ওপর স্মারক বক্তব্য দেবেন।

নেপালের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি সই হবে। তার মধ্যে আছে পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও কৃষি খাতে সহযোগিতা চুক্তি। এসব চুক্তি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্যে আলোচনা করা হবে।

বিদ্যা দেবীর জন্ম ১৯৬১ সালে ভোজপুর জেলায়। ১৯৭০ সালের পরে তিনি বাম ঘরানার ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮০-৮১ সালের মধ্যে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (সিপিএন-মাওবাদী) সদস্য হন। আশির দশকে দলের সদস্য মদন কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। মদন কুমার পরবর্তীতে দলের মহাসচিব নির্বাচিত হন। তার সময়েই সিপিএন জোট বাঁধে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (লেনিনবাদী) সঙ্গে। তখন থেকে দলের নাম হয় সিপিএন-ইউএমএল। ১৯৯৩ সালে কাঠমান্ডু- ১ আসনের সংসদ সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কৃষ্ণ প্রসাদ ভাট্টারিয়াকে পরাজিত করে উপনির্বাচনে ওই আসনে বিজয়ী হন বিদ্যা। ২০০৯-১১ সাল পর্যন্ত মাধব কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন বিদ্যা। সর্বশেষ নেপালের সংবিধান রচনায় যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার সদস্যও ছিলেন ইউএমএলের এই নেতা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App