×

জাতীয়

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করলেন মোদী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২১, ০১:১৪ পিএম

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করলেন মোদী

ধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী-১ সেতু উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভারতীয় টাকায় নির্মিত এ মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি।

২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে বৈঠকে রামগড়- সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ নামে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।

এই অনুষ্ঠানে মোদী ত্রিপুরার একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

‘মৈত্রী সেতু’টি ফেনীর ওপর নির্মিত হয়েছে। এই নদীটি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। ‘মৈত্রী সেতু’ নামটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি ভারতের সাবরুমের সঙ্গে বাংলাদেশের রামগড়কে যুক্ত করেছে। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের যাত্রা শুরু করবে। এই সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে ত্রিপুরার সাবরুম থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠার পাশাপাশি ‘উত্তর পূর্বের প্রবেশ দ্বার’ হয়ে উঠবে। সেতুটির মাধ্যমে সরাসরি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে ত্রিপুরা।

সেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সাবরুমে সুসংহত চেক পোস্ট তৈরির জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এটি দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী চলাচল সহজ করে তুলবে। এমনকি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির উৎপাদিত পণ্য সামগ্রির জন্য নতুন বাজারের সুযোগ তৈরি হবে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্বিঘ্নে যাত্রী চলাচল ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে। এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে ভারতের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ব্যয় হচ্ছে ২৩২ কোটি টাকা।

সেতুর ভারতীয় প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানিয়েছেন, গত ১৩ জানুয়ারি সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এ সেতুর মোট পিলার ১২ টি। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ ৮টি ও ভারতের অংশে ৪টি। সেতু থেকে ২৪০ মিটার এপ্রোচ রোড নির্মাণ করে রামগড়-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে সাথে এবং ওপারে সেতু থেকে প্রায় ১২০০ মিটার এপ্রোচ রাস্তা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের দুই লেনের এ সেতুর দুপাশে রয়েছে ফুটওয়ে।

এদিকে, বাংলাদেশ সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথম ভারতের নীতির ‘গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ’ হিসাবে বাংলাদেশকে বর্ণনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সফরের প্রস্তুতি নিতে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্কর ঢাকা সফর করেছেন এবং বলেছেন, এতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরো উন্নতি ঘটবে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর অবশ্যই অত্যন্ত স্মরণীয় হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App