×

জাতীয়

হাসিখুশি পরিবারটিতে বিষাদের ছায়া!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২০, ০৩:৪২ পিএম

হাসিখুশি পরিবারটিতে বিষাদের ছায়া!

নিহত পুলিশ সুপার আনিসুল করিমের পরিবার/ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ করেই হাসিখুশি পরিবারটিতে বিষাদের ছায়া বিরাজ করছে। পিতার কোলে আর যেতে পারবে না ছোট্ট শিশুটি। শিশুটি জানেও না তার পুলিশ অফিসার বাবা কখনো ফিরবে না। তিনি নিথর হয়ে গেছেন। পৃথিবীর নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে না ফেরার দেশে বাবা। গতকাল সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে টেনে-হিঁচড়ে ও ধস্তাধস্তি করে একটি কক্ষে নিয়ে যান হাসপাতালের ছয় কর্মী। দ্বিতীয়তলার ওই কক্ষে নেওয়ার পর তাকে মেঝেতে উপুড় করে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা হয়।

ধস্তাধস্তির সময় তাকে মারধরও করা হয়। একজন কনুই দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাতও করেন। ধস্তাধস্তির ঠিক ৪ মিনিটের মাথায় একেবারে নিস্তেজ হয়ে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করলে তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিম জানান, আনিসুল পারিবারিক ঝামেলার কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তারা ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন। ওই সময় কাউন্টার থেকে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী তাকে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা জানান যে আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকলেও তা তেমন প্রকট ছিল না। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিটুনিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১ বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। সর্বশেষ আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারে দায়িত্বে ছিলেন।

শেরেবাংলানগর থানার ওসি জানে আলম মিয়া বলেন, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। আনিসুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App