আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপিসহ ২৮ জনের নামে মামলা হয়েছে।এতে অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করা হয়। ১০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি ও ভূমি জবরদখলের অভিযোগে এই মামলা করা হয়। 

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ পারপুগী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল ইসলাম বাবলু। পরে বিচারক রহিমা খাতুন থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন—ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে সাবেক এমপি মাজাহারুল ইসলাম সুজন, মমিরুল ইসলাম সুমন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, একই উপজেলার তাঁতী লীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামীম, মহিষমারি গ্রামের হুমায়ূন কবির, কলেজপাড়ার আদম আলী, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ির আমিনুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলাম ভাসানী এবং হরিনমারি সরকারপাড়ার বাসিন্দা মতিন।

এছাড়া রয়েছেন-বেলসাড়া গ্রামের জুলফিকার আলী, বামুনিয়া পাড়িয়া গ্রামের ফজলে রাব্বী রুবেল, রাঙ্গাটলি ভানোর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, আমজানখোর ইউনিয়নের মোড়ল বস্তি গ্রামের লাজিব উদ্দীন কালঠু, একই ইউনিয়নের উদয়পুর বাগানবাড়ি গ্রামের মুনছুর, কাশিডাঙ্গা গ্রামের আজহার আলী, হরিনমারী সরকারপাড়া গ্রামের আশরাফুল, সর্বমঙ্গলা বড়বাড়ি গ্রামের আরজু লিটন, বড়পলাশবাড়ী পূর্ব বড়গাছিয়া গ্রামের আবু শাহীন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চড়ইগতি গ্রামের লাবলু, দোগাছি চাড়োল গ্রামের জিল্লুর রহমান, ভাঙ্গাটুলি ভানোর এলাকার রফিক বিডিআর, আমজানখোর ইউনিয়নের কাশিবাড়ি গ্রামের শাহজাহান, বালিয়াডাঙ্গী ঢেকনাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, আমজানখোর ইউনিয়নের মাহাতবস্তি গ্রামের বাবু এবং আমজনখোর ইউনিয়নের রত্নাই মারাধার গ্রামের তাজু মেম্বার। তাছাড়া অজ্ঞাত আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার বাদী হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৯০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে দখলে রয়েছে ২০ একর। বাকি জমি মামলার আসামিরা দখল করে রেখেছেন। আশা করছি, আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবো।

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে থানায় এজাহারের হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনবে পুলিশ।