শিরীন শারমিন চৌধুরীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে সরকার পতনের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ কররেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল (সোমবার ২ সেপ্টেম্বর) তিনি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। এদিনই তার পাঠানো পদত্যাগপত্র গৃহীত ও কার্যকর হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৪(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্পিকার পদ হতে পদত্যাগ করেছেন এবং তার পদত্যাগ পত্রটি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে গৃহীত হয়েছে এবং উক্ত তারিখে কার্যকর হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্পিকার তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সেটা গ্রহণ করেছেন। এখন গ্রহণ করা ওই পদত্যাগপত্র পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালযয়ে। পরে বিধি অনুযায়ি আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
আরো পড়ুন: মামলা মানেই যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করায় স্পিকার পদে শূন্যতা তৈরি হলো কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ কে করাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন এসেছে।
এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই সবমিলিয়ে কি হচ্ছে বা হবে তা বলা মুশকিল। কারণ আমাদের সামনে এ পরিস্থিতির কোনো উদাহরণ নেই।
বাংলাদেশের সংবিধান বলছে, পদত্যাগ করলেও নতুন স্পিকার দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত শিরীন শারমিন চৌধুরীই পদে থাকছেন বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ ত্রয়োদশ সংসদের নির্বাচিত স্পিকার দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত শিরীন শারমিনই স্পিকার হিসেবে গণ্য হবেন। তিনিই নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পড়াবেন।