অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত বছর, যা জানা গেলো
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ ন্যূনতম ২ বছর হওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা। মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই মত দেন তারা।
মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ জন সম্পাদক অংশ নেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. ইউনূস। তারা তাকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেন যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকে। এই সময়টা আসলে কতটুকু? এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ সম্পাদকদের কাছে জানতে চান ড. ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সম্পাদকদের বক্তব্য তুলে ধরে শফিকুল আলম জানান, বিভিন্ন রকম কথা এসেছে। সর্বনিম্ন যে সময়টা এসেছে, সেটা যেন ২ বছর হয়। আবার অনেকে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ২ থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সম্পাদকদের বেশিরভাগই বলেছেন, যেসব এজেন্ডার বাস্তবায়ন বা যে কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করবে, তা-ই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ প্রসঙ্গে সম্পাদকদের বক্তব্যে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেসব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অনেক কথা এসেছে, সংবিধান সংশোধন, সংবিধান নতুন করে লেখা, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন, পুলিশের জন্য কমিশন, পুলিশকে কীভাবে আরো কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে।
শফিকুল আলম জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেছেন, এটি মস্ত বড় সুযোগ, বাংলাদেশের জন্য, আমাদের সবার জন্য। রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য। বাংলাদেশকে নতুন শিখরে নেয়ার জন্য। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দোষ-ত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেছেন, আপনারা লিখবেন, প্রচুর লিখুন, আপনারা জানান। আমাদের যদি দোষ-ত্রুটি থাকে, সেগুলো নিয়েও আপনারা বলুন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাই।
প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস বারবার বলেছেন, তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং ভাইব্রেন্ট মিডিয়া দেখতে চান। সম্পাদকরা বলেছেন, মিডিয়াতে যেসব কালা কানুন আছে, সেগুলো যাতে বাদ দেয়া হয়; সংশোধন করা হয়। সবাইকে স্বাধীন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।