পদ্মা সেতু প্রকল্পের খরচ কমেছে ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রকল্পের মোট ব্যয় থেকে ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিদর্শন শেষে শরীয়তপুরের জাজিরা সার্ভিস এরিয়া-২ এর কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফাওজুল কবির বলেন, বিগত সরকার পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরেছিল ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় ভালো সরকার থাকলে ব্যয় আরো অনেক কমিয়ে আনা যেতো। প্রকল্পের মূল সেতুতে ৫৩০ কোটি, নদী শাসনে ৮০ কোটি, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়াতে ১৭৮ কোটি, মূল্য সংকোচনে ৫০০ কোটি, ভূমি অধিগ্রহণে ১০৩ কোটি এবং পরামর্শ ২০০ ও অন্য ব্যয় ২৩৪ কোটিসহ মোট ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বিভিন্ন অনিয়মের ফলে যে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে, তা নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু সংখ্যাগত উন্নয়ন হলেই হবে না, গুণগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমি মূলত খুলনা যাচ্ছি রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করতে। খুলনার রূপসায় ৮৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ নাই। কিন্তু উন্নয়ন দেখানো হয়েছে, বিভ্রান্ত করা হয়েছে যে জিডিবি বাড়ছে, গ্রোথ বাড়ছে। কিন্তু এ গ্রোথ তো কাজের না। যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে তো এ গ্রোথ একটা সংখ্যা মাত্র । এশিয়ান ডেপলোপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে লোন নিয়ে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিপুল অঙ্কের ব্যয় তো দেশের জনগণকে পরিশোধ করতে হবে। রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে পরিদর্শন শেষে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানসব অনেকে।