ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি: সেদিন যা ঘটেছিল
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার (২৪ আগস্ট) ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস। কিছু বিপথগামী পুলিশ সদস্য ১৯৯৫ সালের এই দিনে ইয়াসমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে সর্বস্তরের মানুষ। আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে নিহত হন ৭ জন। তারপর থেকেই সারাদেশে এই দিনটি ‘ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
এদিকে ২৪ অগাস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। ইয়াসমিন হত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, ঢাকা নগর শাখা।
সেদিন যা ঘটেছিল
১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন ইয়াসমিন। রাতে ওই তরুণীকে দশমাইল মোড় এলাকায় এক চা দোকানির জিম্মায় নামিয়ে দেন বাসের সুপারভাইজার। কিছুক্ষণ পরই নৈশ টহল পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান সেখানে পৌঁছে তরুণী ইয়াসমিনকে নানা প্রশ্ন করে। এক পর্যায়ে দিনাজপুর শহরে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে জোরপূর্বক তাকে পুলিশ ভ্যানে তুলে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ। ২৭ আগস্ট কয়েক হাজার জনতার বিক্ষোভ মিছিলে নির্দ্বিধায় গুলি চালায় পুলিশ। এতে সামু, কাদের, সিরাজসহ ৭ জন নিহত হন। আহত হন ৩ শতাধিক মানুষ।
ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যাসহ, বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। এতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঈনুল, কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান চালক অমৃত লাল বর্মণকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে আসামিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়।