এস আলমের ১২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অনুসন্ধান
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সিঙ্গাপুরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে বন্ধ থাকা অনুসন্ধান আবারো শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরইমধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে এস আলম গ্রুপের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় লেনদেনের তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে কমিশন। অভিযোগ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদকের উপপরিচালক নূর-ই-আলমকে।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে এস আলমের অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। উচ্চ আদালতের এক আদেশের পর অনুসন্ধান বন্ধ রাখা হয়েছিল। আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের পর পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর গত রবিবার আপিল বিভাগের একটি আদেশের কপি পায় দুদক, সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। আপিল বিভাগের ওই আদেশে বলা ছিল: ‘অভিযোগটি যথার্থ নয়। তবে দুদক বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ চাইলে অভিযোগটি অনুসন্ধান করতে পারে।’
আরো পড়ুন: পলক ও নসরুল হামিদের দুর্নীতির খোঁজ
তিনি আরো বলেন, সে অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) অনুসন্ধানটি পুনরায় শুরু করা হয়। সেদিনই নথিপত্র চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, সাইফুল আলম তথা এস আলম আওয়ামী লীগ সরকারের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
সাধারণত বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রুপটি কোনো নিয়মনীতি মানেনি। প্রতিষ্ঠানটি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা পাচার করার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছে। গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জানা যায়।