পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হলেও উপস্থিতি কম
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হলেও উপস্থিতি কম
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা ও রাজধানীর বাইরের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
ভোরের কাগজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিনিধি মো. রাফিউজ্জামান লাবিব বলেন, গত রবিবার থেকে ঢাবিতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এখনো সেভাবে শুরু হয়নি।
তিনি বলেন, ক্ষমতার পালাবদলে উপাচার্যহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেকে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে করেই এখনো ক্লাসে ফিরছেন না।
একই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার মুন্নাও একই কথা জানান। তিনি বলেন, অফিশিয়ালি খুলছে, ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম।
মুন্না বলেন, তবে জার্নালিজমসহ অনেক ডিপার্টমেন্টে এখনো ক্লাস শুরুর নোটিশই দেয়নি। ঢাবির হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা উঠে গেছে। এখন মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। যারা এখনো আছেন, তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য সময় দেয়া হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী অনুপম মল্লিক আদিত্য জানান, চলতি সপ্তাহের রবিবার থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে সেটা বিভাগভিত্তিক।
শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এখনো ঢাকার বাইরে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেশিরভাগই চলে আসছেন। তবে যারা প্রক্টরিয়াল বডিতে ছিলেন বা একধরনের আশঙ্কার মাঝে আছেন, তারা আসেননি।
ঢাকার অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিব তানভীরের জানান, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গত রবিবার থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
তিনি বলেন, তবে এই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু ক্লাস শুরু হলেও ভালনারেবল সিচুয়েশন বিরাজ করছে। প্রত্যেক বিভাগেই কোনো না কোনোভাবে ডেমোনেস্ট্রেশান চলছে। যেসব শিক্ষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিল শিক্ষার্থীরা তাদের পদত্যাগ চাচ্ছেন।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে হাসিব বলেন, প্রায় সবাই চলে আসছেন। প্রতিদিন ঢাকা থেকে যে বাসগুলো আসে, সেগুলো ভর্তি থাকে।
তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ভিন্ন চিত্র। সেখানে অন্তত ৭ দিন ধরে সশরীরে ক্লাস চলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারিক হোসেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই চলে এলেও অনেকেই উপাচার্যের পদত্যাগ চাচ্ছেন।