হোটেল কর্মচারী হত্যায় কুমিল্লার রসমালাইখ্যাত সূচনার বিরুদ্ধে মামলা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর হঠাৎ নেট দুনিয়া মেতে উঠে তাহসিন বাহার সূচনাকে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নামের সাথে যুক্ত হয়েছে কুমিল্লার রসমালাই। রূপ লাবণ্যের কারণেই অনেকে তাকে এই উপাধি দিয়েছেন।
তরুণ থেকে মাঝ বয়সী, সবার নজরেই আছেন এই সুন্দরী। মুখে মুখে কেবল তারই চর্চা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বড় মেয়েই হচ্ছেন নেট কাঁপানো কুমিল্লার রসমালাইখ্যাত এই লাস্যময়ী সুন্দরী সূচনা।
তবে আবারও তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। তবে এবার সেই রসমলাই নিয়ে নয়। আলোচনার বিষয় হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে।
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলন চলাকালে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে মাছুম মিয়া নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা
সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের
পলাতক মেয়র সূচনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮ আগস্ট রাতে জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানায় এই হত্যা মামলাটি করেন সদর দক্ষিণ উপজেলার দিশাবন্দ গ্রামের তাজুল ইসলামের
ছেলে আবদুল হান্নান। মামলায় ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ ৪শ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত মাছুম
মিয়া স্থানীয় একটি খাবার হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকার নন্দনপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভ মিছিল করেন কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা। এসময় বাহার ও তার মেয়ে সূচনার নির্দেশে তাদের অনুসারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
এতে কুমিল্লা সিটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়াসহ আরও অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় মাসুমকে। পরে মামলার বাদী ও নিহতের আত্মীয়স্বজন সামাজিক মাধ্যমে লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করেন মাসুমকে। এ ঘটনায় নিহতের নিকটাত্মীয় নগরীর দিশাবন্দ এলাকার আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর
ওই দিন সন্ধ্যায় তাহসিন বাহার সূচনার বাসভবন পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। লুট করে নেয় তার
বাসভবনের সব জিনিসপত্র। এসময় অনেক কাউন্সিলরের বাসভবন ও কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে বাহার কন্যা সূচনা আত্মগোপনে রয়েছেন।