কে এই নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্রের পাশাপাশি তাকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সাখাওয়াত হোসেনকে। তাকে দেয়া হয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বর্তমান উপদেষ্টারদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কর্পসে কমিশন করেন। একজন গানার হিসেবে তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমান্ডিং টু আর্টিলারি ব্রিগেডস এবং ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বঙ্গ সেনা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) প্রধান ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন ও একই সময়ে তাকে কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। তাকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে বলার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। যে ঘটনার ২০০৮ সালে সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতায় আসে।
লেফট্যানেন্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বাংলাদেশ সামরিক একাডেমীর প্রশিক্ষক ছিলেন। পরে তিনি ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডে একটি গ্রুপ টেস্টিং অফিসার (জিটিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক ও স্টাফ হিসাবে তিনটি ভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে কাজ করার অনন্য সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজে এবং ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের স্নাতক।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে তার উত্তরাধিকারী মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রী নাজনীন হোসেন শাকিল শহীদ হয়েছেন। কিউএমজি হিসাবে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন। ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।