×

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: সরকারি হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা যত

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৬ এএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: সরকারি হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা যত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা। ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে শুধু সরকারি হাসপাতালেই মারা গেছে ৪০৭ জন। গত ১৫ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে ১১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি এবং ২৯০ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) কয়েকটি স্বায়ত্তশাসিত চিকিৎসাকেন্দ্র এবং সারাদেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে কতজন চিকিৎসা নিয়েছেন এবং কতজন মারা গেছেন সে তথ্য দিতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা বুলেট, রাবার বুলেট, গুলি, ছররা গুলি, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই চোখ, হাত, পা, মুখ, মাথা, বুক ও পিঠে গুরুতর জখমের শিকার ছিলেন।

আরো পড়ুন : মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত শুরু

দেশে প্রায় ৫ হাজার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দালনে আহত অনেকেই এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের সঙ্গে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনের বিষয় জড়িত। ফলে সরকারি-বেসরকারি সবগুলোর সঠিক তথ্য জানানো জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখা থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার ৫৭৬ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় তাদের ১ হাজার ২৪৫ জনকে ভর্তি করা হয়। ২৩৮ জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় এবং ১৭১ জনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি আহত ও মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এই বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ১ হাজার ৯৩২ জন। তাদের মধ্যে ৫০৪ জনকে ভর্তি করে সেবা দেয়া হয়। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ৪৮ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন ভর্তি অবস্থায় এবং ৩৯ জনকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া বরিশাল বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৪৪২ জন, হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ৩১৫ জনকে। ভর্তি রোগীদের কেউ মারা না গেলেও দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম মৃত্যু হয় রংপুর বিভাগে। ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে-এই বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ২১৩ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আহতদের ৭৬৫ জনকে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আরো ১৩ জনকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।

রাজশাহী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯৭ জন, ভর্তি হয়েছে ৮১২ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। মৃত্যুদের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং ৯ জনকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা দেয়া হয়।

সিলেট বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯৫ জন, হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়েছে ৩০০ জনকে। সিলেটের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন এবং ২১ জনকে মৃত অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে আনা হয়।

খুলনা বিভাগে আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৯৭৫ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে ৪৯০ জনকে ভর্তি করা হয়। খুলনায় মারা গেছেন ৩৫ জন। তাদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে এবং ২৬ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

আন্দোলনে সবচেয়ে কম আহত ও মারা গেছেন ময়মনসিংহ বিভাগে। ময়মনসিংহের হাসপাতালগুলোতে ৪৪৬ জন চিকিৎসা নিতে এলে ১২৩ জনকে ভর্তি করা হয়। যাদের মধ্যে তিনজন মারা যান এবং ৯ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতের তথ্য চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা থেকে ১২ আগস্ট সারা দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও সব বিভাগীয় পরিচালককে চিঠি পাঠানো হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেতে বাংলাদেশ বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সবাইকে ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে তথ্য দিতে বলা হয়। এ সময় বিএসএমএমইউ ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য দিয়েছে।

টাইমলাইন: কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

গণপিটুনিতে দুই মাসে নিহত ৩৩ জন

গণপিটুনিতে দুই মাসে নিহত ৩৩ জন

৪ জেল সুপার বাধ্যতামূলক অবসরে

৪ জেল সুপার বাধ্যতামূলক অবসরে

মনখারাপ দূর করবে কাজুবাদাম!

মনখারাপ দূর করবে কাজুবাদাম!

দিনের শুরুতেই স্বস্তি বাংলাদেশের

চেন্নাই টেস্ট দিনের শুরুতেই স্বস্তি বাংলাদেশের

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত
নির্বাহী সম্পাদক: এ কে সরকার

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App