×

জাতীয়

মামলা রেকর্ড করতে পারছে না বেশির ভাগ থানা

Icon

ইমরান রহমান

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মামলা রেকর্ড করতে পারছে না বেশির ভাগ থানা

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে আক্রান্ত হয় দেশের ৪৫০টিরও বেশি থানা ও কয়েকশ পুলিশ বক্স। হামলা, ভাঙচুর, হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মাধ্যমে চালানো হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। হত্যা করা হয় পুলিশ ও র‌্যাবের ৪৪ সদস্যকে। অনেক জায়গায় নির্মমভাবে পেটানোর পর ঝুঁলিয়ে রাখা হয় পুলিশ সদস্যদের। এই প্রেক্ষাপটে পুলিশ কর্মবিরতিতে গেলে ভেঙে পড়ে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা।

পাড়া মহল্লায় শুরু হয় গণডাকাতি, চুরি, ছিনতাই ও দখলের মহোৎসব। এই অবস্থায় পুলিশের গুরুত্ব বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি ভেঙে আবারো কাজে ফেরে পুলিশ। কিন্তু অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ধ্বংস হয়ে যাওয়া থানাগুলোর কার্যক্রম এখনো তেমনভাবে শুরু হয়নি। আক্রান্ত হওয়া থানাগুলোর কয়েকটির অবস্থা এতোই নাজুক- কবে নাগাদ সম্পূর্ণরূপে কার্যক্রম শুরু হবে, তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না কেউ।

কয়েকটি থানার কার্যক্রম চলছে অন্যত্র কোনো ভবনে। আবার কোনোটি পাশের এলাকার থানায় গিয়ে নিজেদের কার্যক্রম স্বল্প পরিসরে চালু রাখার চেষ্টা করছে। কোনোটিতে থানার সামনে একটি টেবিল পেতে জিডি ও লিখিত অভিযোগ নেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো থানা এখনো পেট্রল ডিউটি শুরুই করেনি। কোনোটি সেনাবাহিনীর প্রহরায় স্বল্প পরিসরে পেট্রল ডিউটি দিচ্ছে।

ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা বলছেন, আন্দোলনকারীরা থানা থেকে কম্পিউটারসহ সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লুটের পর অগ্নিসংযোগ করে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে জিডি ও লিখিত অভিযোগ নেয়া গেলেও বেশির ভাগ থানা মামলা রেকর্ড করতে পারছে না। কেননা মামলা রেকর্ড করতে যে ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন তা নেই থানাগুলোতে।

আবার মামলার পর আসামি ধরে রাখার মতোও পরিস্থিতি নেই অনেক থানায়। এসব কারণে মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে না বেশিরভাগ থানায়। যেগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; মামলা না নিলেই নয়- সেক্ষেত্রে যেসব থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে পাঠানো হচ্ছে।

গতকাল ডিএমপির বাড্ডা, ভাটারা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, তেজগাঁও, রমনা মডেল থানা, পল্টন মডেল থানা ও যাত্রাবাড়ী থানা ঘুরে দেখেন এ প্রতিবেদক। এই থানাগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র তেজগাঁও থানা স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে পেরেছে। কারণ সহিংসতার সময় থানাটির তেমন ক্ষতি হয়নি। অন্য থানাগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। চারিদিকে

ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত। ডিএমপির এই থানাগুলো ছাড়া বেশির ভাগ

থানারই একই অবস্থা। শুধু থানা নয়; বাদ যায়নি পুলিশ সদস্যদের মেসও। মালামাল লুট করে সেখানেও আগুন দেয়া হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও থানায় সেবা নিতে যেতে দেখা গেছে কাউকে কাউকে। তবে সংখ্যাটা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম।

অন্যদিকে পেট্রল ডিউটি তেমনভাবে শুরু না হলেও ইউনিফর্মেই সড়কে দেখা মিলছে পুলিশ সদস্যদের। তবে কাজ কম থাকায় থানায় হাজির হওয়ার পর অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে বেশির ভাগ পুলিশ সদস্যদের। এখনো সবার আলাপের বিষয়বস্তু একটিই- থানায় হামলার দুর্বিসহ স্মৃতি। কে কীভাবে জীবন নিজের জীবন বাঁচালেন- সেই স্মৃতিচারণ করতে দেখা গেছে অনেক পুলিশ সদস্যকে। সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের থানার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে।

ডিএমপির বাড্ডা থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার ভেতরে কিছুই অবশিষ্ট নেই। সবগুলো কম্পিউটার, চেয়ার টেবিল লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। প্রতিটি রুমেই আগুনের ছাপ। নিচ তলায় ডিউটি অফিসারের জায়গাটি পরিষ্কার করে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। হাজতখানাও অক্ষত রাখা হয়নি। ওসির রুমে দরজা ভেঙে সবকিছুতে আগুন দেয়া হয়েছে।

দেয়ালের কালো দাগ ভয়াবহতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে রয়ে গেছে। সেরেস্তা রুমেও পোড়া মালামালের স্তূপ। নিচ তলায় ইন্সপেক্টর অপারেশন্সের রুমে একটি কম্পিউটারে থানার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ওসি। থানার বিপরীত পাশে পুলিশ সদস্যদের মেসও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশেই একটি টিনের ছাউনি, সেটিতের পোড়ার ক্ষত। টিনগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে আছে। এর নিচে কোনো মতে চেয়ার পেতে অলস সময় কাটাচ্ছেন থানার সদস্যরা।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া ভোরের কাগজকে বলেন, এনালগভাবে জিডি ও লিখিত অভিযোগ নেয়া হচ্ছে। মামলা নেয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই আমাদের থানা। কারণ মামলা নিতে যে লজিস্টিক সাপোর্ট, আসামি ধরতে যে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন এবং আসামি ধরার পর তাকে নিরাপদে রাখার মতো হাজতখানার পরিবেশ নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা সবাই এখনো ট্রমার মধ্যেই রয়েছেন। সেদিনের (থানায় হামলা) দুর্বিসহ স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারছি না। সবকিছু পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হচ্ছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবেই। বাড্ডা থানা সূত্র জানায়, ১২৮ জন সদস্যের ১২৬ জনই থানায় যোগদান করেছেন। আর দুজন হামলায় গুরুতর আহত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। থানাটি থেকে বেশকিছু অস্ত্র লুট হয়েছে- কিন্তু এখনো একটিও উদ্ধার হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, এই থানা এলাকার কেউ মামলা করতে এলে তাকে গুলশান থানায় পাঠানো হচ্ছে। কারণ গুলশান থানা তেমন আক্রান্ত হয়নি। ওখানে সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলছে। আর থানার কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ায় এবং যেগুলো ভালো ছিল- ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে তার কয়েকটি অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ায় পেট্রল ডিউটি স্বাভাবিক সময়ের মতো দেয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় একটি পেট্রল টিম টহলে যাওয়া শুরু করেছে। সময়ের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে টহল বাড়বে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

বাড্ডা থানার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা ভাটারা থানার। রাস্তা থেকেই বোঝা যায় ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা। প্রধান সড়কের পাশ ঘেষে থানার দুইপাশে রাখা অর্ধশত জব্দকৃত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে অঙ্গার করা হয়েছে। থানার গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দেখা যায় একটি প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর করে একাংশে আগুন দিয়ে উল্টিয়ে রাখা হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে থানার অন্য দুটি গাড়িও। বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে পুলিশের ক্যাপ, জামা, জুতা, মামলার পুড়ে যাওয়া কপি।

থানার ভেতরের অংশে প্রবেশ করতে না দিলেও জানালা থেকে দেখা যায় থানার রুমগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র। আসবাবপত্র, অস্ত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ জরুরি কাগজপত্র সব লুট করা হয়েছে। ৩ তলার স্থাপনার থানাটির ভেতরে থাকা মেসেও দেয়া হয়েছে আগুন। থানার বাইরে সেবামূলক একটি নির্দেশনা থাকলেও সেখানে কোনো পুলিশ সদস্য পাওয়া যায়নি। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা সেনা সদস্যরা জানান, গুলশান ২ নম্বরের একটি ভবনে পুলিশ সদস্যরা আছেন। অথচ গুলশান-২ নম্বর ভাটারা থানা এলাকার বাইরে।

ডিএমপির বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা ভোরের কাগজকে বলেন, থানাটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আমরা অস্থায়ীভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি অংশে থানার কার্যক্রম চালাচ্ছি। এছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো অপশন ছিল না। এখানে জিডি নেয়া হচ্ছে। অন্য কোনো কার্যক্রম পরিচালনার মতো পরিস্থিতি আমাদের নেই। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় গিয়ে দেখা যায় প্রায় একই অবস্থা। পুড়ে অঙ্গার হওয়া ৩টি পুলিশের গাড়ি থানার সামনে পড়ে আছে। ওসির রুমে তাণ্ডব চালানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ওই রুমসহ ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরের দেয়ালে আগুনের পোড়া কালো দাগ দেখা গেছে। প্রায় সবকটি কক্ষের দরজা ও জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. দুলাল হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, বেঁচে আছি এটিই শুকরিয়া। তবে আমাদের থানার ৭ জন এখনো রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্য ১৫৪ জন সদস্যই ডিউটিতে যোগদান করেছেন। তিনি বলেন, থানার ৯টা গাড়ির ৩টিতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকিগুলো ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা শুধু জিডি নিতে পারছি।

কারো মামলা নেয়ার প্রয়োজন হলে কি করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মো. দুলাল হোসেন বলেন, এখনো কেউ মামলা করতে আসেননি। যদি আসেন, ঊর্ধ্বতনদের পরামর্শ নেয়া হবে। পল্টন মডেল থানায় তান্ডব চালিয়ে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে প্রতিটি কক্ষ। গতকাল দুপুরে দেখা যায়, থানার বারান্দায় একটি টেবিল পেতে জিডি ও লিখিত অভিযোগ নিচ্ছেন একজন ডিউটি অফিসার। আর কক্ষগুলোতে লুটপাট চালানোর পর এমনভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে- রুমগুলো নতুন করে সংস্কার করতে হচ্ছে। রাজমিস্ত্রিরা আবারো ইটের গাথুনি দিয়ে রুমগুলো পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

থানার ডিউটি অফিসার এসআই আজিজ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, থানার কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই অবস্থায় শুধু জিডি ও অভিযোগ নেয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। থানার সব কার্যক্রম শুরু হতে সময় লাগবে। যাত্রাবাড়ী থানার অবস্থাও ভয়াবহ। রাজধানীতে যে কয়টি থানা বেশি আক্রান্ত হয়েছে যাত্রাবাড়ী তার মধ্যে অন্যতম। এই থানাতেও কিছু অবশিষ্ট নেই। চারিদিকে ধ্বংসযজ্ঞের ছাপ। চালু হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের জিডি নিতে দেখা গেছে এই থানায়। চালু হতে সময় লাগবে বিধায় এটির সদস্যরা ডেমরা থানায় অবস্থান নিয়ে এই থানার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সারাদেশের সব কয়টি থানা অর্থাৎ ৬৩৯টি থানার কার্যক্রমই চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মেট্রোপলিটনের ১১০টি ও জেলার ৫২৯টি থানা। কার্যক্রম শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলোকে ধ্বংসযজ্ঞ কাটিয়ে উঠে পূর্বের পরিস্থিতিতে ফিরতে আরো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে থানার কার্যক্রম পুনরুদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি থানা এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য সব জেলা পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স। এই কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহিংস রূপ নিলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থীসহ অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষোভে থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে শতশত থানায় একযোগে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।

টাইমলাইন: কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

‘আমার সঙ্গে যারা অবিচার করেছে, আল্লাহ তাদের প্রাপ্য দেবেন’

‘আমার সঙ্গে যারা অবিচার করেছে, আল্লাহ তাদের প্রাপ্য দেবেন’

নানকের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি

নানকের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণবিয়ে নিয়ে যে বক্তব্য দিলো কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণবিয়ে নিয়ে যে বক্তব্য দিলো কর্তৃপক্ষ

সোনারগাঁয়ে অরুণা বিশ্বাস ও রোকেয়া প্রাচীর নামে মামলা

সোনারগাঁয়ে অরুণা বিশ্বাস ও রোকেয়া প্রাচীর নামে মামলা

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App