আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান সুজনের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং জাতীসংঘের অধীনে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুজন আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজন সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, সুজন নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা ও অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং সুজন-এর জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা মনে করি, রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সূদূরপ্রসারী কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলাপ করে আমাদেরকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি নাগরিক সনদ প্রণয়ন করতে হবে।
জাকির হোসেন বলেন, সংস্কারের আকাঙ্খা থেকেই সাম্প্রতিক সময়ে যে গণআন্দোলন হয়েছে, এটি কোনো বিপ্লব ছিল না। তাই আসলেই কী করা সম্ভব, কতটুকু করা সম্ভব, তা ভাবতে হবে। অতীতে বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় ব্যক্তির রাজত্ব তৈরি হয়েছিল। এমপির রাজত্ব তৈরি হয়েছিল। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। আমরা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। আমরা মনে করি, কাঠামোগত পরিবর্তন হলে, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হলে সবাই উপকৃত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: চিকিৎসা সেবায় পাল্টে গেছে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স !
ড. শাহনাজ হুদা বলেন, বিগত সময়ে এত বেশি দুর্নীতি হয়েছে যে আমাদের মনস্তত্ত্বে এখনো সেই ধারা রয়েছে। এটা ভাঙা বেশ কঠিন হবে। বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমাজের সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়নি। কাঠামোগত পরিবর্তনকে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে রূপান্তর ঘটাতে হবে। একটা স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো যেন আর প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে সেজন্য নজরদারিত্বের কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকারের মেয়াদ কত হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপণ করেন দিলীপ কুমার সরকার।