×

জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা দিলো সুপ্রিম কোর্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা দিলো সুপ্রিম কোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের শপথের বৈধতা দিয়ে রুলিং দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, তাকে এ ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে। তবে, এখনো তিনি আদেশটি দেখেননি। আদেশ না দেখে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতাও জানান তিনি।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) এই রুলিং জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে শপথের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রুলিং দিয়ে, দুর্যোগ মুহূর্তে মধ্যবর্তী সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে আপিল বিভাগ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় হয়েছিল তিন দশকেরও বেশি সময় আগে, আরেক সংকটময় সময়ে। সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাকে সরকারের প্রধান করা হয়েছিল।

রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের ওই সময়ে প্রথমে উপরাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করলে সাহাবুদ্দীন আহমদ উপরাষ্ট্রপতি হন। এরপর রাষ্ট্রপতি এরশাদ পদত্যাগ করলে সে পদে বসেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন। তার অধীনের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা বিএনপি বিরোধীদের বর্জনের মধ্য দলীয় সরকারের অধীনে ষষ্ট জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে। 

এরপর বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন হয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় নির্বাচন অনেকটা গ্রহণযোগ্য হলেও ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়েই বাঁধে বিপত্তি।

সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সে সময়ের সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন। পরে ২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে আরেকটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেয়। তবে এই সরকার ক্ষমতায় থাকে প্রায় দুই বছর। সরকারের সেই বাড়তি মেয়াদের বৈধতা দেয়া হয় ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটির’ কথা বলে।

ওই সময়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার সময় নতুন দল গঠন করে রাজনীতিতে নামার প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকেও। দলের প্রস্তাবিত নাম ছিল নাগরিক শক্তি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সেই দল আর গঠন করেননি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২৬৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।

২০১১ সালে এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই বছরের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে নবম সংসদ। সেই সংশোধনীর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও তার মিত্ররা। ২০১৮ সালে তারা ভোট এলেও সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ তোলে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকারে অধীনে নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনও বর্জন করে বিরোধীরা। টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের সপ্তম মাসে নজিরবিহীন একটি গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আর রইল না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ভোলায় আরো সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

ভোলায় আরো সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান

‘এটাই বাংলাদেশের সেরা টেস্ট দল’

‘এটাই বাংলাদেশের সেরা টেস্ট দল’

টিভিতে আজ যা দেখবেন

টিভিতে আজ যা দেখবেন

ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিদ্যুত খাতের মাফিয়া আজিজ খান

ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিদ্যুত খাতের মাফিয়া আজিজ খান

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App