ব্রেকিং |
যেভাবে ব্রিটেনে আশ্রয় পেতে পারেন শেখ হাসিনা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দেবে কি-না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রের দাবি, শেখ হাসিনা ব্রিটেনে আশ্রয় চেয়েছেন। কিন্তু এখনো সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত পাননি। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
আপাতত ভারতেই রয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এনডিটিভি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন, অভিবাসন আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। ওই পদ্ধতিতে কাউকে আশ্রয় দিতে পারে না ব্রিটেন। সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই তথ্য পেয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সম্প্রতি ব্রিটেনে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিয়ের স্টার্মার। শেখ হাসিনার আবেদন বিবেচনা করে দেখছে ব্রিটেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের পরিস্থিতিতে যেকোনো ব্যক্তি নিকটতম নিরাপদ দেশেই সাধারণত আশ্রয় চেয়ে থাকেন, জানিয়েছে ব্রিটেন। কঠিন সময়ে ব্যক্তিবিশেষকে আশ্রয় দেয়ার ইতিহাস রয়েছে ব্রিটেনের। কিন্তু দেশটিতে পৌঁছে সেখানে আশ্রয় চাওয়ার নিয়ম নেই।
ব্রিটেন জানিয়েছে, যাদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রয়োজন, তারা দেশ ছাড়ার পর প্রথম যে নিকটবর্তী নিরাপদ দেশে পা রাখছেন, সেখানেই আশ্রয় চাওয়ার কথা। সেটাই তার নিরাপত্তা পাওয়ার দ্রুততম রাস্তা। ব্রিটেনে গিয়ে সেখানে আশ্রয় চাইতে পারবেন না শেখ হাসিনা। আগে থেকে তাকে আবেদন জানাতে হবে আশ্রয়দানকারী দেশের সরকারকে। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সেই সময় পাননি। তাই এখনো তার কাছে সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
বাংলাদেশ ছেড়ে প্রথমে ভারতেই পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। আপাতত তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। ধাতস্থ হতে কিছু দিন তাকে সময় দেয়া হয়েছে বলে ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শেখ হাসিনার পরবর্তী পরিকল্পনা কী, তা তিনি ভারত সরকারকে জানালে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার পর দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন বোন শেখ রেহানাও। তাদের বিমান নেমেছিল গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে। সেখানেই রাত কাটিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর গিয়েছেন রাজধানী দিল্লিতে।
শেখ হাসিনার বোনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। শেখ রেহানার কন্যা ব্রিটেনের এমপি। তার পক্ষে দেশটিতে পৌঁছানোয় অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে সবুজ সঙ্কেত আসেনি শেখ হাসিনার কাছে। তাই তাকে দিল্লিতে রেখে শেখ রেহানা ব্রিটেনে চলে যেতে পারেন বলেও দাবি করছে কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র।
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো সরকারিভাবে কিছু জানায়নি ব্রিটেন। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্টার্মার সরকার। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ব্রিটেন জানিয়েছে, তারা গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে ঘটে-যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ চায়। তারা এ-ও চায় যে, ওই তদন্ত হোক জাতিসংঘের নেতৃত্বে, স্বাধীনভাবে। যদিও দীর্ঘ ওই বিবৃতিতে শেখ হাসিনার নাম একবারও উল্লেখ করেনি ব্রিটিশ সরকার।