কোটা আন্দোলন
ফাঁকা হচ্ছে সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের হল
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সব কলেজ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
উভয় বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি তাদের নিরাপদ আবাসস্থলে আশ্রয় নিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী, বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকেই হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব হল ফাঁকা হতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে ফাঁকা হয়ে গেছে ঢাকা কলেজ, বদরুন্নেছা কলেজ ও ইডেন কলেজের হলগুলো।
রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হলও ফাঁকা হচ্ছে। সেগুলো ফাঁকা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটকে তালা দিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এসব তথ্য দিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে ১৬ জুলাই রংপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৩ জন, ঢাকায় ২ জন ও রংপুরে ১জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
গত সোমবার (১৫ জুলাই) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাহারে পরের দিন সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আর মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, রাজাকারের সাফাই এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি ঘোষণার জেরে ১৬ জুলাই সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উত্তেজনা বিরাজ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নেন। সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশও। মূলত তাতে সংঘর্ষ বাঁধে।