×

জাতীয়

শাজাহান সিরাজের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম

শাজাহান সিরাজের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার

শাজাহান সিরাজ

স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ সংগঠক, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম রূপকার, ইতিহাসখ্যাত চার খলিফার অন্যতম, জাতীয় বীর শাজাহান সিরাজের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার (১৪ জুলাই)। 

এ উপলক্ষে ঢাকা ও টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে শাজাহান সিরাজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে মরহুমের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

অন্যদিকে কালিহাতীতে মরহুমের মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মসজিদ- মন্দিরে দোয়া এবং প্রার্থনা, কোরান খানি, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ক্যান্সারে সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই শাজাহান সিরাজ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। শাহজাহান সিরাজ ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল গণি মিয়া ও মা রহিমা বেগম। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে সময় তিনি টাঙ্গাইলের করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্র ছিলেন। 

এরপর তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে তিনি করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। এরপর তিনি ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন অন্যতম ছাত্রনেতা ছিলেন শাহজাহান সিরাজ। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ ‘নিউক্লিয়াস’ এর সক্রিয় কর্মী ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা। 

শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের ‘চার খলিফা’ বলা হতো শাহজাহান সিরাজ ছিলেন তাদেরই একজন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ তিনি সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রবসহ অন্য ছাত্রনেতাদের সঙ্গে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। 

১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ স ম আবদুর রব।  সেখান থেকেই পরদিন স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্রসমাবেশে বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন শাহজাহান সিরাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেন। 

মুক্তিযুদ্ধের পর শাহজাহান সিরাজ সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকার গঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনে ভূমিকা পালন করেন, যা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল। রব-সিরাজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ভাঙ্গন থেকে জাসদ গঠিত হলে সেই দলের প্রতিষ্ঠাতাসহ সাধারণ সম্পাদক হন শাহজাহান সিরাজ। তখন তাকে কিছু দিন কারাগারেও থাকতে হয়েছিল। 

পরে জাসদের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। জাসদ কয়েকটি ভাগ হলে একটি অংশের হাল ধরেন শাহজাহান সিরাজ। প্রথম এইচএম এরশাদের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে রবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে আলাদা হয়ে যান শাহজাহান সিরাজ। তখন শাহজাহান সিরাজের সঙ্গে ছিলেন হাসানুল হক ইনু। তবে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে শাহজাহান সিরাজের অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বন্দ্বে ইনু আলাদা জাসদ পড়লে একা হয়ে পড়েন তিনি। 

এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী সাবেক ছাত্রনেত্রী রাবেয়া সিরাজের সঙ্গে ১৯৭২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাহজাহান সিরাজ। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ একজন শিক্ষিকা এবং রাজনীতিবিদ। জাসদের মনোনয়নে তিনবার তিনি জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সাংবাদিক দেওয়ান হাবিব আর নেই

সাংবাদিক দেওয়ান হাবিব আর নেই

গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডি অপসারণ

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডি অপসারণ

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অধিদপ্তর

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অধিদপ্তর

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত
নির্বাহী সম্পাদক: এ কে সরকার

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App