বাতিল হতে পারে রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। তবে, প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটি সুপারিশ করলেই এ পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।
তিনি জানান, এরইমধ্যে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর অগ্রগতিও জানানো হবে। কমিশনের যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তাদের সাসপেন্ড করা হবে।
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ১২ বছরের যে পরীক্ষাগুলোর কথা বলা হয়েছে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, আজ পর্যন্ত ওইসব পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। এটা প্রমাণ করে পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু হয়েছে।
পিএসসির গাড়িচালক আবেদ আলীর বিষয়ে তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন নির্ধারণ ও সাপ্লাই করা হয়, সেখানে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে এ কার্যক্রমের সাথে যেহেতু অনেকেই জড়িত থাকেন, তাই শতভাগ নিশ্চিতভাবেও বলা যায় না।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে বিক্ষোভ করেছেন দুই শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। এ সময় তারা গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান।
আরো পড়ুন : প্রশ্নফাঁস : তিন সদস্যের কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো, গত ৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে হবে, প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।
এসময় দাবি আদায়ে তারা ‘প্রশ্ন ফাঁসের পরীক্ষা, মানি না মানবো না’, ‘প্রশ্ন ফাঁসের পরীক্ষা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘রেলের পরীক্ষা, বাতিল চাই বাতিল চাই’ বলে স্লোগান দেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দুপুর ১টার দিকে তারা সেখান থেকে চলে যান।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা জানান, রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুধুমাত্র প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রিলির প্রশ্নফাঁস করলেই সহজে চাকরি পাওয়া যায়। এজন্য একটি চক্র এ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। বিসিএসের মতো এ নিয়োগেও প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিলে প্রশ্নফাঁস ও তদবির বাণিজ্য কমবে।
চাঞ্চল্যকর অভিযান পরিচালনা করে বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। মঙ্গলবার সকালে তাদের আসামি করে রাজধানীর পল্টন থানার মামলা দায়ের হয়েছে।