×

জাতীয়

তথ্য প্রতিমন্ত্রী

গণমাধ্যমের প্রতিটি জায়গায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম

গণমাধ্যমের প্রতিটি জায়গায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি

ছবি: ভোরের কাগজ

পেশাদার সাংবাদিকতা চর্চার সুস্থ পরিবেশ তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিকল্প নেই। গণমাধ্যম যত স্বাধীন ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তত বিস্তৃত হবে। তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যখন অপসংবাদিকতা হয় তখন শুধু দেশ, জাতি বা গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, পেশাদার সাংবাদিকতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই সবার স্বার্থে সাংবাদিকতা চর্চার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা দরকার। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) প্রকাশনা ‘বিএসআরএফ বার্তার মোড়ক উন্মোচন ও বিএসআরএফ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক ও সহ-সভাপতি এম এ জলিল মুন্না।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে, এটি আরো এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে অনেক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্ত থেকে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এখন পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনা দরকার। সাংবাদিকদের পরামর্শ নিয়ে আমরা প্রতিটি জায়গায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।

আরো পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখা স্মার্ট কার্ড পেলেন ১০৪ মুক্তিযোদ্ধা

আরাফাত বলেন, সরকার তথ্য অধিকার আইন সংসদে পাশ করেছে। এই আইনের মাধ্যমে সরকার নিজেকেই জবাবদিহিতায় এনেছে। এতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা আরো ক্ষমতাবান হয়েছে, তা অনেক ক্ষেত্রে অনুধাবণের অভাব থাকে। একইভাবে সরকারের যেসব জায়গা থেকে তথ্য দেয়ার কথা সেখানেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, তথ্য না দেয়ারও দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। সেদিক থেকে দুই পক্ষের কিছু দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন করা দরকার। এই আইন যে অধিকার দিয়েছে, সেটা জানা, বোঝা ও সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্যও কাজ করা হচ্ছে। 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সারাবিশ্বে এখন অপতথ্যের প্রচার হচ্ছে। বাংলাদেশের মান-মর্যাদা ও ইমেজ বিনষ্টে পরিকল্পিতভাবে কিছু কাজ হচ্ছে। দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের বিপক্ষে নতুন নয়। এর আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম হয়ে গণমাধ্যমকে শ্রেণিবিভাগ করে ব্র্যান্ড করলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয়। পছন্দ হলে গণমাধ্যম ঠিক আছে, না হলে প্রো গভর্নমেন্ট বা এন্ট্রি গভর্নমেন্ট হয়েছে এই মানসিকতা থাকা কোনভাবেই সঠিক নয়। হ্যা কোনো গণমাধ্যম যদি অপতথ্য ছড়ায়, তার দায়বদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের চোখ হয়ে কাজ করে গণমাধ্যম। গণমাধ্যম সরকারের ব্যর্থতা ও বিচ্যুতি তুলে ধরে সরকারের উপকার করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এটিকে স্বাগত জানায়। কিন্তু অপতথ্য, অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যদি কোন হেডলাইন বা সংবাদ হয়, তখন আমাদের বুঝতে হবে এটি সরকার বা জনগণের কোন মঙ্গলের জন্য হয়নি। নির্ধারিত কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষার জন্য হয়েছে। যখনই সাংবাদিকতা গোষ্ঠী বা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য হবে, তখনই সেটা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ বা মঙ্গলের কাজে আসবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App