×

জাতীয়

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্যানিটেশন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্যানিটেশন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

ছবি: ভোরের কাগজ

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেবার দাবি জানিয়েছে ওয়াটারএইডসহ সহযোগী ৯ টি বেসরকারী সংস্থা (এনজিও)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে সংস্থাগুলো। এসময় পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াটারএইডের আজমান আহমেদ চৌধুরী, পিপিআরসির ড. আব্দুল ওয়াজেড, এনজিও ফোরামের হেড অব কমিউনিকেশন সাইফুল ইসলাম সরকার, ভার্কের ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক মাসুদ হাসান, প্রাকটিক্যাল একসানের হেড অব প্রোগ্রাম তাজিন হোসেন, ইউনিসেফের ওয়াশ স্পেশালিস্ট মোহম্মদ মনিরুল আলম, বি স্কানের সালমা মাহবুব, ওয়াটার ডট ওআরজির আবু আসলাম এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের সালমা আহমেদ ছাড়াও এফএসএম নেটওয়ার্ক ও ফানসার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ওয়াশ খাতে জিডিপির উর্দ্ধমুখী গতি থাকলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ২৩ শতাংশ বরাদ্দ কমে যায়। যার ফলে ওয়াশের জন্য বরাদ্দে গ্রাম ও শহরের যে ব্যবধান তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাপকভাবে লক্ষণীয় ছিল। সে কারণে গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবধান বা অসামঞ্জস্য সমাধান করা বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর জন্য একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়।  

আরো পড়ুন: ঈদুল আজহায় ১১ দিন বন্ধ থাকবে বাল্কহেড, বাড়ানো হবে ফেরি

তবে বাজেটে কোস্টাল অঞ্চলে বরাদ্দের উন্নতি হয়েছে, পাহাড়েও বেশ কিছুটা উন্নতি হলেও হাওড় অঞ্চলে বরাদ্দ কমে যাওয়ায় সেখানকার ওয়াশ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা বেশ নাজুক। তাই বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সব ধরনের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ওয়াশ খাতের বরাদ্দ এডিপি বাড়ার আকারের সমানুপাতিক বা উচ্চতর করার দাবি জানান হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

তিনি বলেন, ওয়াশ ও ক্লাইমেট নিয়ে কাজ করার জন্য ২৫ টি সরকারী ডিপার্টমেন্টকে চিহ্নিত করা হলেও বর্তমানে মাত্র ৯ টা ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে, তার মধ্যে আবার চলতি অর্থবছরে মাত্র ৬ টা ডিপার্টমেন্ট প্রকল্প নিয়েছে।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ৬ নম্বর লক্ষ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ পানীয় জল এবং স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যমাত্রা সঠিক সময়ে অর্জন নিশ্চিত করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাড়ার হার এবং উন্নয়ন বাজেটের সঙ্গে ওয়াশ খাতের বরাদ্দকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেজন্য আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন এবং সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেয়া জরুরি। চর, হাওর, পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা এবং নগরগুলোর মধ্যকার বরাদ্দ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন: প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমা খালাস

অনুষ্ঠানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আগের অর্থবছরগুলোর মতো এই বছরেও কিশোরী ও নারীদের মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরতে স্যানেটারি ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালসহ স্থানীয় পর্যায়ে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিক্রয়ের উপর ধার্যকৃত বিদ্যমান সব ধরনের শুল্ক ও কর শতভাগ মওকুফ করার আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য জোর দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামাঞ্চলে শুধু প্রকল্প নিলে চলবে না সেই সঙ্গে প্রকল্প পরিচালনার জন্য প্রোগ্রাম ও অর্থ বরাদ্দের কথা বলেন বক্তারা। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, মানব বর্জ ব্যবস্থাপণাসহ ওয়াশ, সেনিটেশন খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিথি বক্তা ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ওয়াটার এণ্ড সেনিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতে ওয়াশ জার্নালিস্ট ফোরাম তৈরির চেষ্টা চলছে। বাজেটে এ খাতের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে- কতটা কাজ করছে। অঞ্চল ভেদে ওয়াশ প্রকল্পের যে বাজেট ব্যবধান সেটা দূর করতে হবে। রাজধানীসহ শহরগুলোতে কাজ হলেও পাহাড় ও হাওড় অঞ্চলে বরাদ্দের ভিন্নতা রয়েছে, এটা দূর করা প্রয়োজন।

টাইমলাইন: বাজেট ২০২৪-২৫

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App