×

জাতীয়

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৭:১২ পিএম

সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না

ছবি: ভোরের কাগজ

প্রতিবেশী দেশের দালালি করে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নাই আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা যে-রকম অত্যাচার-নির্যাতনকে সহ্য করে এখনো বুক টান করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায় এই স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশীদের নাই কারো নাই।

আর প্রতিবেশীদের দালালি করে শেখ হাসিনা বেশি দিন টিকতে পারবে না। কারণ যারা নাকি অন্যায়ভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে তাদের পরিণতিটা কি বিভিন্ন দেশে ইতিহাসটা পড়েন। তাহলে বুঝবেন যত জুলুম, যত লুটপাট, যেমন আঘাত শুরু করছেন আপনার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দিয়ে শুরু করছেন, ক্ষমতাচ্যুতের পর কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার, ক্ষমা চাইবেন সুযোগ পাবেন না। শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দক্ষিণ বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। 

‘সরকারের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে’

গয়েশ্বর বলেন, আপনারা একজনের নাম বলছেন, আমার নাম উচ্চারণ করতে লজ্জা হয়… তাও বলতে হয় এটু আগে বলছেন, বিএনপি চলে রিমোট কন্ট্রোলে? হ্যাঁ বিএনপির রিমোট কন্ট্রোলে চলে? রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে? দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হাতে নয়তবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমানের হাতে।

আপনাদের রিমোট কনট্রোলটা কোথায়? আপনার রিমোট কনট্রোলটা কোথায়? আপনাদের সরকারের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে? মোদির(প্রধানমন্ত্রী) হাতে, না অজিত দোভাল(জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে না, অমিত শাহের(স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কন্ট্রোলে আপনাদের চলতে হয়।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছিলেন না সারা বিশ্বের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ষড়যন্ত্র করতেছিলো… ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকতো এই নির্বাচন আমরা করতে পারতাম না। তাই না… ভারতই আপনাদের রাখছে, ভারতই আপনাদের রাখবে… এই তো। তার মানে গণতন্ত্রের অবস্থা কি? বাই দা পিপল, ফর দা পিপল, অব দা পিপল…. আর আপনাদের কথা শুনে মনে হয়, ডেমোক্রেসি মিনস বাই দা ইন্ডিয়া, ফর দা ইন্ডিয়া, বাই দা ইন্ডিয়া… নাকি। এর বেশি কিছু? মনে হয় না।

সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ টেনে দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে এর দেশকে রক্ষায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

‘বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট’

উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৭ জানুয়ারি থেকেও কম উল্লেখ রিজভী বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকেও কম। ঠিক ভোট ফেয়ার হয়েছে, সেখানে যে যেখানে পারছে সে সেখানে সিল মারছে বাইরে ফিট-ফাট আর ভেতরে সদরঘাট এই হচ্ছে গতকালের নির্বাচনের অবস্থা।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই সমাবেশ হয়।

ট্রাক ওপর তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশের বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত বিশাল ব্যানারে লেখা ছিল: ‘মা আমায় দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

সমাবেশের পর একটি মিছিল কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্টুরেন্ট মোড় হয়ে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এই সমাবেশে বিএনপি হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শামীমুর রহমান শামীমসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App