×

জাতীয়

বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির আভাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৯:১৬ এএম

বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির আভাস

ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে টানা ৩১ দিনের দাবদাহের মধ্যে স্বস্তির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির পরিচালক আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের পশ্চিমাংশে বৃষ্টি শুরু হবে। পরে তা ক্রমান্বয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। তখন সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে তাপমাত্রা।’

আগামী ৭ মে এর মধ্যে দেশের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসবে বলে জানান তিনি। এদিকে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে নতুন করে আরো ২ দিনের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবাহওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাংশে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে বাড়তে পারে অস্বস্তি। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। 

সন্ধ্যার বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর ও খুলনা জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে।

টানা দাবদাহের মধ্যে মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। চুয়াডাঙ্গায় এদিন থার্মোমিটারের পারদ ওঠে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল। আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ। চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। টানা ৩১ দিন ধরে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, এর আগে ২০১৪ সালে ৫-৩০ এপ্রিল টানা ২৬ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৬ সালে ৬-৩০ এপ্রিল টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল থেকে ৫ মে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এবার তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। 

মঙ্গলবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ও উজানের মেঘনা অববাহিকায় ২৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। তাতে দেশে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে পারে। এসময় সিলেট অঞ্চলের সুরমা নদীর কানাইঘাট, লুভাছড়া নদীর লুভাছড়া, সারিগোয়াইন নদীর সারিঘাট ও গোয়াইনঘাট পয়েন্টে অল্প সময়ের জন্য পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App