×

জাতীয়

ইসি আলমগীর

নির্বাচনে মানুষের আস্থা ফিরেছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৭ পিএম

নির্বাচনে মানুষের আস্থা ফিরেছে

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে দেশের মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে এই তীব্র গরমের মধ্যেও ৬০ থেকে ৮০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে একটা আস্থা এসেছে যে এখন ভোট দেয়া যায়। আমার ভোট আমি দিতে পারব।’

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ইসি আলমগীর।

এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো পরিবেশ পায় তাহলে তারা ভোটকে উৎসব হিসেবে মনে করে। সেই উৎসবের অংশ হিসেবে আমরা মনে করি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। হ্যা, গরমের কারণে মানুষের একটু কষ্ট হবে। তারপরেও মানুষ ভোট দিতে আসবে।’

নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে মন্ত্রী, এমপি ও সরকারের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত বড় কোনো কর্মকর্তাদের প্রতি সতর্কবার্তাও দেন তিনি। 

তিনি বলেন, কোনো মন্ত্রী, এমপি বা সরকারের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত বড় কোনো কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী হলে তারা তাদের পক্ষে প্রচার চালাতে পারেন না বা পক্ষ অবলম্বন করতে পারেন না। তারপরেও যদি তারা এ কাজ করেন তাহলে প্রার্থীর যেমন প্রার্থিতা বাতিল হবে, ঠিক একইভাবে ওই মন্ত্রী, এমপি বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইসি আলমগীর বলেন, ভোটের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। এরমধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। তা না হলে নানাবিধ আইনগত সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক, রাজনৈতিক সমস্যার পাশাপশি শান্তি -শৃঙ্খলারও বিঘ্ন ঘটে। এ জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই নির্বাচন শেষ করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, যখন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয় তখন তীব্র তাপদাহ ছিল না। ভারতে তাপদাহ আমাদের থেকেও বেশি। এরমধ্যেও তারা জাতীয় নির্বাচন বন্ধ রাখেনি। আমাদের দেশে প্রতি বছরই তাপমাত্রা বাড়ছে। ভবিষ্যতে হয়তো এটা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। এর মধ্যেই জীবনযাত্রা চালাতে হবে। আমরা আমাদের বাহ্যিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তাপদাহের জন্য কোন কিছুই বন্ধ রাখিনি। নির্বাচন বন্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে পাকা ভবন ও গাছপালা আছে। ভোটাররা ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে পানির ব্যবস্থা থাকবে। আর ভোটাররা ভোট দিয়েই চলে যাবে। এজন্য খুব বেশি সমস্য হবে না। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। তাপদাহে কোনো সমস্যা হয়েছে- এমন খবর পাইনি।

 রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App