×

জাতীয়

দাম বেড়েছে আদা রসুনের

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম

দাম বেড়েছে আদা রসুনের

ছবি: সংগৃহীত

বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে আদা ও রসুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। সেই সঙ্গে আদার দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি রসুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়। পাশাপাশি আমদানি করা বড় রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি নতুন আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় এবং আমদানি করা আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২৫০ টাকা। 

বাজার বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উপ পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন, দেশি রসুনের বর্তমান বাজারদর ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, যা একসপ্তাহ আগে ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা ছিল। গতমাসে এর দাম ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গতবছর এর দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

আমদানি করা রসুন‌ এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। এক মাস আগে ছিল ১৯০ থেকে ২২০‌ টাকা। এক বছর আগে ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

দেশি নতুন‌‌ আদা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। এক মাস আগে ছিল ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা। গত বছর এই সময় দেশি আদার দাম ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে দেশি আদার দাম বেড়েছে ৪৭.৬২ শতাংশ।

অন্যদিকে আমদানি করা আদা বর্তমানে প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল ১৯০ থেকে ২৪০ টাকা। এক মাস আগে ছিল ১৯০ থেকে ২২০ টাকা। আর এক বছর আগে এই সময়ে আমদানি করা আদার দাম ছিল ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা। সব মিলিয়ে এক বছরে আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১২. ১৮ শতাংশ।

রাজধানীর কাওরান বাজারের আদা‌-রসুনের এক ব্যবসায়ী বলেন, আদার একটি বড় অংশ দেশের বাইরে থেকে আসে, মানে আমদানি করা হয়। ডলারের দাম ওঠানামার উপরে আদার দাম নির্ভর করে, গত কয়েক দিনে দেশি এবং আমদানি করা দুই ধরনের আদার দামই মান ও আকার ভেদে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে বাজারে এখন আদা রসুনের সরবরাহ তুলনামূলক একটু কম। যে কারণেও এ দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে। 

তিনি বলেন, অন্যদিকে রসুনের উৎপাদন খরচ এবার বেশি হয়েছে। ঈদের আগে দেশি রসুনের দাম তুলনামূলক কম ছিল, কারণ তখন রসুনগুলো কাঁচা ছিল, এখন রসুন শুকানোর কারণে ওজন কমে গেছে, যে কারণে এর দাম বেড়েছে। তবে আমদানি করা রসুনের দামের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App