×

জাতীয়

এবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২.৬ ডিগ্রি

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১২ পিএম

এবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২.৬ ডিগ্রি

ছবি: সংগৃহীত

যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় টানা শীর্ষে ছিলো চুয়াডাঙ্গা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর। 

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এ দাবদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি বাড়বে।

গত কয়েকদিন ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা আরো বেড়ে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে প্রচণ্ড গরমে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ।

বিকাল ৫টার সময়ও দেখা গেছে যশোর শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোর সেই পরিচিত যানজট নেই। মানুষের উপস্থিতিও খুবই কম।

যশোর ঈদগাহ মোড়ে গাছের ছায়ায় রিকশা রেখে গল্প করছিলেন দুই চালক। এদের একজনের নাম রুবেল। তিনি বললেন, রাস্তায় লোকজন নেই। ভাড়া হচ্ছে না, ছায়ায় বসে দুজন গল্প করছি। সকালে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে বিকেল ৫টা বাজতে গেল, রিকশা মালিকের জমার টাকা এখনো তুলতে পারিনি। প্রচণ্ড গরমে লোকজন খুব কম থাকায় এ অবস্থা।

এদিকে টানা তাপদাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলার সীমান্ত এলাকা বোনাপোল। এই অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। তীব্র গরমের কারণে শ্রমজীবী মানুষ বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রচণ্ড গরমে শ্রমিকরা মালামাল লোড-আনলোড করতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীদের চাপ বেড়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্টের জি এম আশরাফ জানান, গরমে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রখর রোদ থেকে ঘরে ফিরেও গরমে ছটফট করছেন সবাই। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রাতের বেলাও থাকছে প্রচণ্ড গরম। এই গরম কোনভাবে সহ্য করার মতো নই।

বেনাপোল বাজারের চায়ের দোকানদার সাদেক জুনাব আলী জানান, প্রচণ্ড গরমে দোকানে বসে থাকা খুবই কষ্টকর। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে চা বিক্রি কমে গেছে। 

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সালাম জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বেশির ভাগ শিশু ঠাণ্ডা জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App