×

জাতীয়

মুক্ত নাবিকদের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২০ পিএম

মুক্ত নাবিকদের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতর গেল তিনদিন হয়েছে। এতোদিন জিম্মি নাবিকদের ঘরে ঘরে কোনো আনন্দ ছিল না। তাদের দিন কাটছিল অজানা শঙ্কায়। নাবিকরা সবাই সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ায় নাবিকদের পরিবারে বইছে আনন্দের হাওয়া। শুক্রবার এমভি আবদুল্লাহ আর নাবিকরা মুক্ত হওয়ার পর এভাবেই তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন তাদের আনন্দানুভূতির কথা। 

নাবিক আইনুল হকের মা লুৎফে আরা বেগম বলেন, আমার ছেলেরা মুক্ত হয়েছে, কেমন ভালো লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ঈদ গেলেও আমাদের ঘরে কোনো আনন্দ ছিল না। ঈদের দিন আইনুলের সাথে কথা হয়েছিল। তারপর দুই দিন আর কথা হয়নি। খুব শঙ্কায় ছিলাম ছেলের মুক্তি নিয়ে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ছেলে ও তার সহকর্মীরা মুক্ত হওয়া উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লুৎফে আরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা জাহাজ মালিকপক্ষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা সবসময় বিষয়টি নজরে রেখেছে বলে ছেলেরা মুক্তি পেয়েছে।” 

স্বামীর মুক্তির খবর পেয়ে তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদ গেলেও আমাদের ঘরে কোন আনন্দ ছিল না। গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে আমার স্বামী যখন টেলিফোনে তাদের মুক্ত হওয়ার খবর জানাল তখনই মনে হলো আজকে আমাদের ঘরে ঈদ।  

ঈদের দিন দস্যুরা সবাইকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিয়েছিল। পরে দুইদিন কোনো কথা হয়নি। রাতে কথা হয়েছে। তখন বলল, বিদেশি জাহাজের পাহারায় তারা দুবাইয়ের দিকে রওনা করেছেন। কবে নাগাদ ঘরে আসবে সেটা কিছু জানায়নি। 

এমভি আব্দুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার মো. তানভীরের মা জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ঈদের দিন কথা বলার পর ছেলের সঙ্গে আর কথা হয়নি। ভোর রাত পৌনে চারটার দিকে সে ফোন করে মুক্তি পাওয়ার কথা জানিয়েছে। 

জিম্মিদশায় থাকাবস্থায় কয়েকবার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,  ঈদের দিন নামাজের পর দস্যুদের সঙ্গে তোলা ছবি মিডিয়াতে আসায় তারা (দস্যুরা) খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিল বলে তানভীর জানিয়েছে। এ কারণে দস্যুরা মানসিক নির্যাতন করেছে। দুইদিন কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়নি। 

জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ভোর রাতে মুক্তির খবর পেয়ে কী যে আনন্দ লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। মনে হচ্ছে আজকেই আমাদের ঈদ। ঈদের দিনতো আমাদের ঘরে কোনো আনন্দেই ছিল না। 

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করা হয় জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিককে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App