এজলাসে অশোভন আচরণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও হেয়প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করায় প্রধান বিচারপতির কাছে বিচার চেয়েছেন এক বিচারক। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিচার চান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম। 

বিচারক লিখিত আবেদনে বলেন, এজলাসে বিচারকাজ করার সময় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশ উচ্চস্বরে কথা বলেন। পরে শুধু আদালত অবমাননা ছাড়াও শুনানির সময়ের ঘটনা সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্মানহানিকরভাবে প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন: জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে দিতে হবে ভ্যাট

লিখিত আবেদনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরো উল্লেখ করেন, তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ওই আইনজীবী সোশ্যাল মিডিয়াতে তার প্রদত্ত ভিডিও চিত্র পেয়েছেন। যা উপস্থিত খুলনা বিচার বিভাগে কর্মরত আমার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (মহানগর দায়রা জজ ও সিএমএম) ও অন্যান্য বিচারকদের অবগত করেছি। ওই ভিডিওতে বিচারক হিসাবে আমাকে দুর্নীতিবাজসহ আরো অনেক বিষয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্মানহানিকর বক্তব্য দেয়া হয়েছে।

এদিকে আদালত অবমাননা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয়প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করায় ব্যাখ্যা দিতে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।