×

জাতীয়

হঠাৎ কেন সহিংসতার পথে কেএনএফ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ এএম

হঠাৎ কেন সহিংসতার পথে কেএনএফ!

ছবিঃ সংগৃহীত

গত বছর প্রথমবারের মত কেএনএফ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে । মূলত জঙ্গিদের আস্তানা গড়া ও প্রশিক্ষণে সহায়তার অভিযোগে বান্দরবানে সংগঠনটির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে সেনা সদস্যসহ বেশ কয়েকজন। তবে গত মঙ্গল ও বুধবার রুমা এবং থানচিতে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ব্যাংকের ৩টি শাখায় বড়ধরনের হামলা ঘটনা নজিরবিহীন।

সংঘাত বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কেএনএফের শান্তি আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ১৯ জুলাই। দুদফা ভার্চুয়াল আলোচনার পর ৫ নভেম্বর ও চলতি বছরের ৫ মার্চ বৈঠক হয় সরাসরি। বৈঠকে সংগঠনটি ৭ দফা দাবিনামা দেয়। প্রতিশ্রুতি দেয় আপাতত সন্ত্রাসে না জড়ানোর। কিন্তু, সেটি ভেঙে সংগঠনটি হঠাৎ কেন সহিংস পথ বেছে নিলো, তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামের মতে, এখানে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে শান্তি আলোচনা যেন না হয় সে কারণে বাইরে থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কি না। আরো একটি প্রশ্ন হলো, দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতির সময় সেখানে থাকা কেউ কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি, এই মোবাইলের যুগেও?

আগামী ২২ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল পরবর্তী বৈঠক। তবে সেটিও এখন অনিশ্চিত। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু মনে করেন, এমন হামলা অনেকটাই রুদ্ধ করে দিয়েছে আলোচনার পথ। 

তিনি আরো বলেন, শান্তি আলোচনা চলাকালে যখন সরকার আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক বিষয় শিথিল করেছে, এর সুযোগেই তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রত্যাশা ছিলো তারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। কিন্তু এ ঘটনা সব কিছুর কবর রচনা করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠকে আগামী ২২ এপ্রিল যে শান্তি সংলাপ হওয়ার কথা তা বাতিল করা হয়েছে। 

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে ২০২২ সালের এপ্রিলে। সংগঠনটির প্রধান নাথান বম। তাদের মূল দাবি, পার্বত্যাঞ্চলের ৯টি উপজেলাকে নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়া। সংগঠনটি আত্মপ্রকাশের পর এই প্রথম এত বড় হামলা চালালো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App