×

জাতীয়

সচিব

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ১০ লেন করার কাজ চলছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১২ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ১০ লেন করার কাজ চলছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ১০ লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদযাত্রা ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক গণশুনানি ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি জানান, এরই মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ১০ লেন হলেও মহাসড়কটিতে ১২ লেনের এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে সরকারের কথা চলছে।

সচিব বলেন, এবারের ঈদে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে উঠলেই আটক করে পাঠিয়ে দেয়া হবে ডাম্পিং স্টেশনে। যেখানে ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটক হবে, সেখানেই যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হবে। যাত্রীদের এই ভোগান্তির জন্য পরিবহন মালিককে জরিমানা করা হবে।

আমিন উল্লাহ নুরী আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদ উপলক্ষ্যে আমরা নানা উদ্যাগ নিয়েছি। বাস ভাড়া কামানো হয়েছে, বাড়তি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে। 

জেলা প্রশাসক ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, কুমিল্লা অঞ্চলে মহাসড়কের ওপর স্থায়ী ও অস্থায়ীসহ মোট ৫৩৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৩০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কুমিল্লা অঞ্চলের অধীনে ৭৯২ কিলোমিটার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে টহল কার্যক্রম সাজানো হচ্ছে। কুমিল্লা অঞ্চলে হাইওয়ে সেক্টর থাকবে দুটি ও সাব সেক্টর ২১টি, মোবাইল ডিউটি থাকবে ৩৪টি, পিকেট ডিউটি ১৫টি, কুইক রেসপন্স টিম মোটরসাইকেলযোগে থাকবে ১৫টি, পিকআপযোগে ১৫টি, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ একটি, রেকার ডিউটি সরকারি পাঁচটি ও বেসরকারি ছয়টিসহ ১১টি, অ্যাম্বুলেন্স ডিউটি দুটি, কন্ট্রোল রুম একটি, অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম বা ওয়াচ টাওয়ার থাকবে ৩৫টি। যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে মহাসড়কের পাশের ৫৩৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হয়েছে। 

গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বিআরটিসির পরিচালক ড. অনুপম সাহা, কুমিল্লা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মোহাম্মদ তারেক ইকবাল, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীত চাকমা, হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলামসহ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App