×

জাতীয়

ওবায়দুল কাদের

জিয়ার হাত ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্ব শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম

জিয়ার হাত ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্ব শুরু

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করে বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্ব শুরু হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব শুরু হয় জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি। ছাত্রনেতাদের আদর্শ বিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়। নীতি ও আদর্শকে পাশ কাটিয়ে বৈষয়িক চিন্তা ও বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত করা হয় তাদের। এর ধারাবাহিকতায় দিনে দিনে ছাত্ররাজনীতিতে একটি কলুষিত ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।’  

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিলো। ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত সংগঠন। তারা দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।’

আরো পড়ুন: বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের আফসোস হয়। বিএনপির নেতারা বুঝে না যে, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তারা জনগণ থেকে আরো দূরে সরে যাবে। তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছে এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি আরো দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের অবদান যৌক্তিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু এক এবং অভিন্ন। এখানে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বয়ান তৈরির অপচেষ্টা হলো ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। আর ইতিহাসের বিরুদ্ধে যে জাতি বা গোষ্ঠী অবস্থান নেয় তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।’

আরো পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনের জন্য প্রতি বছর ব্যয় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতারা নির্যাতনের মনগড়া মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথে হেঁটেছিল তারা। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো। এখন তো তাদের নেতাকর্মীরা একের পর এক মুক্তি পাচ্ছেন। অথচ তাদের মুখে অত্যাচার-নির্যাতনের তথাকথিত বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এটা তারা চিরস্থায়ী পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের আরো দাবি করে বলেন, সরকার কোনো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেনি। বরং নির্বাচন বানচাল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে যে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো, সরকার তা থেকে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App