ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন দেশপ্রেমিক বাঙালির হৃদয়ে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই, তিনি অমর। তার কীর্তিই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। তার আদর্শ চির জাগ্রত। তার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে এ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে।

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংস ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায় সপরিবারে স্বাধীনতার মহানায়ককে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হতো তাহলে বাংলাদেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো। 

আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, বাংলাদেশের সব উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সফলতার ভিত্তি হলো আমাদের স্বাধীনতা। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা আজ বাংলাদেশকে এই জায়গায় দাড় করাতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তেমনি স্বাধীনতা আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। 

রমজানের তাৎপর্য সম্পর্কে ধর্মমন্ত্রী বলেন, রমজান মুসলমানের জন্য প্রশিক্ষণ বা অনুশীলনের মাস। এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে সব ধরণের পাপকার্য থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সহিষ্ণুতা, শৃংখলাবোধ, পরোপকার, সৎচিন্তা ও সৎ জীবনযাপনের যে অনুশীলন করা হয়, সেটি জীবনের বাকি সময়ে প্রতিপালন করার মধ্যেই রোজার মূল তাৎপর্য নিহিত। 

জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত। দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি গণমাধ্যমে সরকারের গঠণমূলক সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকেও দেশবাসির সামনে তুলে ধরার অনুরোধ জানান।

জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নূর হাকিমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিশ আলী নান্টু বক্তৃতা করেন।

পরে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।