×

জাতীয়

রেলের কেনাকাটায় অনিয়ম

৫ হাজারের ল্যাম্প ২৭ হাজার সাতশো টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম

৫ হাজারের ল্যাম্প ২৭ হাজার সাতশো টাকা

ছবি: সংগৃহীত

যে ল্যাম্পের বাজারে খুচরা দাম মাত্র ৫ হাজার তা ঠিকাদারের সঙ্গে জোগসাজসে রেলওয়ে কিনলো ২৭ হাজার ৭০০ টাকায়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে যন্ত্রাংশ কেনায় অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে বিভিন্ন দফতরে গিয়ে যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধান করে এ অনিয়ম ধরা পড়ে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল অফিসে এ অভিযান চালায় দুদক চট্টগ্রামের একটি টিম। বাজারে প্রতিটি এলইডি বাতির দাম সর্বোচ্চ যেখানে ৫ হাজার টাকা, সেখানে রেল কিনেছে ২৭ হাজার টাকায়। 

জানা গেছে, দুদক টিম ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক কেনা সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। 

সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলছে দুদক। 

আরো পড়ুন: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ

মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশ নেবার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। যা প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের উপর ভিত্তি করে এসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টস পায়নি দুদক। এরপর দুদক টিম বৈদ্যুতিক প্রকোশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সংগ্রহ করার জন্য জন্য সিওএস এর দপ্তরে যায়। সেখান থেকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে। যা অসংগতিপূর্ণ বলছে দুদক। একই টিম পরে পাহাড়তলীতে অবস্থিত রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অবস্থিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরএ্যাণ্ডআই এর মেরামতকৃত কক্ষ পরিদর্শন করেন। ওয়াকিটকি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। 

এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়।

এছাড়া আরো কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়, যেগুলো কেনায় অনিয়ম দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। দুদক এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App