বুধবার দুপুরে হঠাৎ ‍গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় রেখেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

রাত সাড়ে ১১টায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গুলশানের বাসার সামনে সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন,  এই মুহূর্তে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। মেডিকেল বোর্ড আপাতত উনাকে বাসায় রেখে সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

দুপুরের দিকে ম্যাডাম অসুস্থ বোধ করছিলেন। এখন দুপুরের চেয়ে, সন্ধ্যার চেয়ে অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন।

অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘আজকে (বুধবার) দুপুরের পর থেকে উনি অসুস্থতা বোধ করছিলেন। সেই কারণে রোজার দিন সেজন্য ইফতারের পরে ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ড অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এএফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুরুউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক একিউএম মহসিন, অধ্যাপক শাসমুল আরেফিন, অধ্যাপক জাফর ইকবালসহ, চিকিৎসকরা এবং ওভার টেলিফোনে লন্ডন থেকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা, জোবায়েদা রহমান তারা প্রায় বেশ কয়েকবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় উনারা মনে করেছেন যে, তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন । সেজন্য আপাতত বাসাতে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় তাহলে যেকোনো সময়ে হসপিটালে স্থানান্তর করতে হতে পারে। এখন দুপুরের চেয়ে, সন্ধ্যার চেয়ে অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন।

এর আগে বিকালে খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হয়েছে জানিয়ে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত চিঠি পাঠায়। সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে হাসপাতালে নেয়ার। কিন্তু অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য গুলশানের বাসায় কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে হাসপাতালে নেয়ার পরিকল্পনা বদলান।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের অবস্থা খারাপ জেনে দ্রুত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী ফিরোজায় ছুটে আসেন এবং চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন।

সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ভর্তি হয়ে একদিন পর বাসায় ফেরেন।