×

জাতীয়

দেশে গাধার সংখ্যা বেড়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১০:১৩ পিএম

দেশে গাধার সংখ্যা বেড়েছে

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় চিড়িয়াখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে গাধার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভারসাম্য আনতে অতিরিক্ত গাধাগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী গাধা রাখার সক্ষমতা ৬টি। তবে সেখানে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে। এতে অতিরিক্ত গাধাগুলোর জন্য স্থান সংকুলান হচ্ছে না।

এ ছাড়া গাধার মতোই ঘোড়া, সাপ, জলহস্তী, পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীর সংখ্যা সাম্প্রতিককালে বেড়ে গেছে। ফলে গাধার পাশাপাশি এসব প্রাণীও বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনুমতি চেয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

ধারণক্ষমতার বেশি থাকা প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা ১০টি। এরমধ্যে ৬টি প্রজাতি বিক্রি করতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- গাধা, অ্যারাবিয়ান ঘোড়া, দেশি ঘোড়া, ইমু পাখি, দেশি কবুতর ও জালালি কবুতর।

আরো পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

পাশাপাশি পাখি বা সাপের মতো কিছু প্রাণী অবমুক্ত করে দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন শুধুমাত্র সবুজ সংকেতের অপেক্ষা।

এ বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, চিড়িয়াখানাতে কয়েকটি প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে গাধা অন্যতম। আমাদের যে সেড রয়েছে, সেখানে ৬টি গাধা রাখার কথা তবে বর্তমানে গাধার সংখ্যা রয়েছে ১৩টি। আমরা ৭টি গাধা বিক্রি অথবা বিনিময় বা স্থানান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের ধারণ ক্ষমতার মধ্যে আনতে চাই।

তিনি আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে গাধার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অন্য খাচায় স্থান হয়েছে গাধার। গয়ালের খাচায় দেয়া যায় গাধাকে। ওয়াটার বাক এবং ঘোড়ার খাচাতেও দেখা মেলে গাধার।

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছেন: শিল্পমন্ত্রী

গাধা খুবই উপকারী প্রাণী। সভ্যতা সৃষ্টির পরতে পরতে অবদান আছে গাধারও। সংকীর্ণ ও দুর্গম পথের পণ্য পরিবহনে গাধাকে সহজেই ব্যবহার করা যায় যা অন্যপ্রাণী দিয়ে সহজে সম্ভব হতো না।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রখর কৌতূহলী গাধা, কোনো ঘটনায় সহজে চমকে যায় না। মরুর দেশে গাধা ৬০ মাইল দূর থেকে অন্য গাধার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। বড় কান, তাদের শরীর শীতল রাখতে সাহায্য করে। গাধার রয়েছে অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তি। ২৫ বছর আগে দেখা এলাকা, এমনকি বহু বছর আগে দেখা গাধাদের তারা সহজেই চিনতে পারে। গাধাকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে কোনো কাজ করিয়ে নেয়া খুব কঠিন একটা ব্যাপার।

মিশরে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য তৈরি অধিকাংশ ধাতু বহন করেছিলো গাধা। গ্রিসে সংকীর্ণ ও দুর্গম পথের পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হয় গাধাকেই। কৃষি পণ্য বহনকারী প্রাণী হিসেবে রোমান আর্মিরা গাধাকে ব্যবহার করতো। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জিনিসপত্র নিয়ে সহজে চলাফেরা করতে পারায় ভারতের রাজস্থান ও জয়পুরের অন্যতম বাহন গাধা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App