×

জাতীয়

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম

শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর

বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সভাকক্ষে, শিশু একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে আজকের শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর। 

বুধবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সভাকক্ষে, শিশু একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। স্বাধীনতার চেতনায় আত্মমগ্ন হয়ে সবাইকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতার যথার্থ মূল্য দিতে শিখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার মাধ্যমে শিশুদের দেশপ্রেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবার আহবান জানান তিনি।

আরো পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে

২৬ শে মার্চের তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৬ শে মার্চ রক্ত, অশ্রুস্নাত বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহের দিন। ২৬ শে মার্চ বাঙালীর শৃঙ্খলমুক্তির দিন। বাঙালির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ২৬ শে মার্চ বাঙালীর দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা পর্ব। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের ইংরেজ শোষণ থেকে মুক্ত হয়েও বাঙালি স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি। পাকিস্তানী শাসকেরা অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষণ করতে থাকে সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালিদের। পাকিস্তানিদের প্রকৃত চেহারা উপলদ্ধি করে এদেশের মানুষের মনে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগরিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে পুরো বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাঙালি জাতির জীবনের স্বাধীনতা শব্দটি বহুপ্রতীক্ষিত একটি স্বপ্নের নাম। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা পরাধীন একটি জাতি ছিলাম, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ শৃংখল থেকে চিরতরে মুক্তির লড়াই শুরু হয়। শত্রুর হাত থেকে স্বদেশভূমি তখন স্বাধীন না হলেও মনে মনে আমরা নিজেদের সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবতে শুরু করি। তাই ২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রাঙ্গনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিমন্ত্রী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শতশিশুর সঙ্গে সংগীত পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App