রোজার শুরুতেই চালের বাজারে অস্বস্তি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বাজারে রোজা শুরুর আগে হুট করেই বেড়েছিলো চালের দাম। পরে তা কিছুটা কমলেও আবার রোজার মাঝামাঝি সময়ে এসে বেড়েছে গুটি, নাজিরসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম। কেজি প্রতি সব ধরণের চালেই দুই থেকে তিন টাকা হারে বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ফলে বিপাকে সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি চালের বাজার ঘুরে চালের বাড়তি দাম দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতে বস্তা প্রতি দুই থেকে তিনশো টাকা হারে বেড়েছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুচরা বিক্রিতে কেজি প্রতি সবধরণের চালে দুই থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর চালের বড় বাজারগুলোর ব্যবসায়ীদের ভাষ্য- তারা আশপাশের কয়েক এলাকায় পাইকারি দামে চাল সরবরাহ করেন। একই সঙ্গে খুচরা দামেও বিক্রি করেন। ফলে ওইসব বাজারগুলোতে তুলনামূলক চালের দাম কম। চাল বিক্রেতা মঈনুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা-চিকন সব চালেরই দাম বেড়েছে।
এর মধ্যে পাইজাম বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে ছিলো। পাইজামের চাইতে মোটা চাল গুটি। সেখানেও কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।
এদিকে ঈদের আগে হুট করে আবার চালের দাম বাড়ায় বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে এদের মধ্যে একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক চাকরিজীবী বলেন, ‘কী কারণে দাম বেশি, এটা দোকানদারও জানে না। আমরা তো দেশের টুকটাক খবর রাখি। ফসল নষ্ট হয়নি। কোনো সমস্যাও হয়নি। ব্যবসায়ীদের মন চাইলো, তারা দাম বাড়িয়ে দিলো। আমাদের টাকা তো হিসাব করা। বাড়তি খরচটা কোথা থেকে করবো?’
অন্যদিকে বাজারে অন্যান্য চালের দাম বাড়লেও একমাত্র মোটা চাল হাইব্রিড চালের দামই অপরিবর্তিত আছে। এ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। তুলনামূলক চিকন চালের মধ্যে দাম বেড়েছে মিনিকেটের। কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়ে ধরণভেদে এই চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
দাম বাড়ার মিছিলে উচ্চ বিত্তদের চাল হিসেবে পরিচিত নাজিরশাইলও কম যায় নি। এ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। রাজধানীর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে।