×

জাতীয়

প্রয়াত রাষ্ট্রপতির আদর্শ যুগ যুগ ধরে নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে: ধর্মমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম

প্রয়াত রাষ্ট্রপতির আদর্শ যুগ যুগ ধরে নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে: ধর্মমন্ত্রী

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আদর্শ যুগ যুগ ধরে নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় ধর্মমন্ত্রী একথা বলেন। 

ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমান ছিলেন একজন আপদমস্তক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের যতগুলো স্তর রয়েছে ৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬, ৬৯ এবং সর্বশেষ একাত্তরের স্বাধিকার আন্দোলন-সবগুলো স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ভাষাসৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং অহিংস রাজনীতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

মরহুম জিল্লুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কথা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে জিল্লুর রহমান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মুজিবনগর সরকার পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয় বাংলা পত্রিকার প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে জেনেভায় গেলেন স্পিকার

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর চার বছর কারাগারে ছিলেন জিল্লুর রহমান। জেল থেকে বেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন তিনি। জিল্লুর রহমান ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের পর ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিলো দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং সেটা তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করেছিলেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কিভাবে অবিচল থাকতে হয়, নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থাকতে হয়, জিল্লুর রহমান তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য তিনি রাজনীতি করে গেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা জাতি আজীবন মনে রাখবে।

মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি  এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। অন্যান্যের মধ্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, লায়ন মশিউর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App