×

জাতীয়

সোমালিয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকরা নিরাপদে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম

সোমালিয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকরা নিরাপদে

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিক এখনো নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম। কয়লা বোঝাই করে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম আরো বলেন, জাহাজটি সোমালিয়া কোস্টের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। সোমালিয়া কোস্ট থেকে এখনো ৪১০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে। ‘জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও ডাকাতদের সঙ্গে এখনো সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কাজেই কী কারণে জাহাজটি হাইজ্যাক করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। 

এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি জাহান মণির ছিনতাই করে করে সোমালি জলদস্যুরা। ওই জাহাজটিও ছিলো কবীর গ্রুপের। সে সময় দরকষাকষি করে চুক্তির মাধ্যমে ২৫ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনে মালিকপক্ষ। তবে চুক্তির শর্ত কখনোই প্রকাশ করা হয়নি। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘২০১০ সালেও একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছিলো। তবে এখন পর্যন্ত নাবিকরা সবাই নিরাপদে আছে।

দস্যুদের হাতে পড়ার পর জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তায় ঘটনার বিবরণ ও বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে একটা হাই স্পিডবোট আমাদের জাহাজের দিকে আসতে থাকে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম দিই এবং সবাই ব্রিজে গেলাম। এরপর জলদস্যুরা চলে এলো। তারা ক্যাপ্টেন ও দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে ঘিরে ফেললো। আমাদেরকেও ডাকলো এবং কিছু গোলাগুলি করলো। তবে তারা কারো গায়ে হাত তোলেনি।

আরেকটি স্পিডবোটে আরো কয়েকজনের আসার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, এরপর একটা বড় মাছ ধরার জাহাজ আমাদের পাশে এসে পৌঁছালো। ইরানের মালিকানাধীন ওই জাহাজ এক মাস আগে জিম্মি করেছিলো। তবে দস্যুরা আমাদের জাহাজ ও জিম্মিদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেনি বলে জানান এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে এক বার্তা পাঠিয়ে আতিক বলেন, টাকা না দিলে আমাদেরকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে দস্যুরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App