×

জাতীয়

নারী দিবস ও অধিকার সম্পর্কে জানে না অধিকাংশ শ্রমজীবী নারী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম

নারী দিবস ও অধিকার সম্পর্কে জানে না অধিকাংশ শ্রমজীবী নারী

দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি এখন দৃশ্যমান। কিন্তু আগের বছরের তুলনায় পরের বছর এই অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে বা কেন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সেই অগ্রগতি হতে পারেনি তা নিয়ে কোন তথ্য আমাদের দেশে নেই। দেশের বেশিরভাগ শ্রমজীবী নারী নারী দিবস ও তাদের অধিকার সম্পর্কে জানেনা। নারীর প্রতি সব বৈষম্য নিরসন করতে পারলেই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  সভার আয়োজন করে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কনসোর্টিয়াম (ডিএসকে, বারসিক, কাপ ও ইনসাইটস) ‘ঢাকা সিটিজেন্স অ্যাডভোকেসি কোলাবোরেশন অ্যাগেইনস্ট পোলিউটিং এনভাইরনমেন্ট (ঢাকা কলিং)। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই সভা শুরুর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসকে’র পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মাহমুদুর রহমান। 

অতিথি ছিলেন কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অফ পার্টি কেটি ক্রো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরিন, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ইউ ওয়াই সিস্টেমস লি: এর সিও এবং চেয়ারপারসন ফারহানা এ. রহমান। ঢাকা কলিং প্রকল্প কিভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সকলের সুরক্ষায় স্মার্ট এবং টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রান্তিক নারীদেরকে ক্ষমতায়িত করছে তা তুলে ধরেন ডিএসকে কনসোর্টিয়ামের সমন্বায়ক মো. রকিবুল ইসলাম। নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন বারসিকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রকল্পটির কর্ম এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যে সকল নারী প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে তাদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরিন বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ শ্রমজীবী নারীরা নারী দিবস সম্পর্কে জানেনা কারন তাদের এই প্রক্রিয়ার সাথে অংশগ্রহণই করানো হয় না। নারীদের প্রতি সকল বৈষম্য বন্ধ করতে পারলেই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। 

সোহরাব হাসান বলেন, নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়। নারীকে তার অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করতে হয়। পুরুষেরা সমাজে যে অধিকার ভোগ করে সমাজে নারীদেরও সেই অধিকার ভোগ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। 

ফারহানা এ. রহমান বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন মানে নারীর সিদ্ধান্ত নেয়ার ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা, পাশাপাশি তার সিদ্ধান্ত তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক কিভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে সেটা।

কেটি ক্রো বলেন, সারাবিশ্বে নারীর অধিকার ও নেতৃত্ব বিকাশে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সব জায়গায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ঢাকা কলিং প্রকল্পের মাধ্যমে নারীরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সকলের সুরক্ষায় স্মার্ট এবং টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদেরকে যে ক্ষমতায়িত করছে তা খুবই আশাব্যঞ্চক। 

ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর আমরা নারী দিবস উদযাপন করলেও নারীরা পূর্বের বছরের তুলনায় নারী এ বছর কতটুকু অগ্রসর হতে পেরেছে বা কেন অগ্রসর হতে পারেনি তা নিয়ে আমাদের কোন স্টাডি নেই। আমাদের এ বিষয়ে যথাযথভাবে অনুসন্ধান করে তা নিরসনে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

প্রসঙ্গত; ঢাকা কলিং প্রকল্পটি ইউএসএইডের অর্থায়নে এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ২০২১ সাল থেকে গণতান্ত্রিক সুশাসন ও নাগরিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্বশীল করার জন্য অধিপরামর্শ দিচ্ছে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সকলের সুরক্ষায় স্মার্ট এবং টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়িত করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App