×

জাতীয়

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত ও চীনের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত ও চীনের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও চীনের হাইকমিশনার ইয়াও ওয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। 

সোমবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। 

প্রতিমন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমরা ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষর হতে পারে। জিএমআরের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ও এগুচ্ছে। মেঘালয়, ত্রিপুরা বা আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। 

তিনি বলেন, এইচ-এনার্জির মাধ্যমে এলএনজি/গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। আমরা ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নেপাল থেকে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড লাইন থাকলে পাওয়ার ট্রেড গতি পাবে। এতে ভারতও লাভবান হবে।

 আরো পড়ুন: স্বজনহারার বেদনা বুঝি, বিচারও করেছি

প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতিমাসে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সভা করা অপরিহার্য। বায়ু ফুয়েল নিয়েও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এলপিজির চাহিদা উওরোত্তর বাড়ছে। এসব খাতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ভারতে কিভাবে কাজ করতে পারে সেই বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনা করা যেতে পারে। 

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানি চলমান। ভারতও নেপাল থেকে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে। এ সময় হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি, আর-এলএনজি, জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা, ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে।  

এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আগামী ৫ বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশের বৃহত্তর উন্নয়ন সহযোগী চীনকে পাশে রাখতে চায়। 

আরো পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিতদের সহায়তা দেয়া হয়েছে

চীনের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দুই দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রসারে চাইনিজ কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চীন আমাদের বৃহত্তর উন্নয়ন সহযোগী দেশ। আমরা চীনকে আমাদের পাশে আরো বড় আকারে দেখতে চাই। আগামী ৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। চীন এই বিনিয়োগে বড় অংশীদার হতে পারে। 

প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বিনিয়োগের খাতগুলো উল্লেখ করে বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্র বাড়াতে বাংলাদেশ ও চীনের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত দল গঠন করা যেতে পারে। 

চীনের রাষ্ট্রদূত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানের জন্য একসঙ্গে বসা জরুরি ছিলো। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধি, শক্তিশালী ও উন্নত হবে। এই সময় চাইনিজ অর্থায়নে প্রকল্পসমূহ, লিথিয়াম ব্যাটারি ফ্যাক্টরি স্থাপন, সেমি কন্ডাক্টর ফ্যাক্টরি স্থাপন, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম, স্মার্ট মিটার, সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প, বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস উত্তোলন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App