×

জাতীয়

ড. মুহাম্মদ ইউনুস

বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো নোবেল বিজয়ীকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো নোবেল বিজয়ীকে

গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৩ মার্চ) দুপুর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনুস গণমাধ্যমে জানান, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি আপনারা স্মরণ করে রাখুন। এই দিনে দুদকের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো একজন নোবেল বিজয়ীকে। আজকের এই ছবিটি সংগ্রহ করে রাখুন। এটা গুরুত্বপূর্ণ কেন- আইন মানুষের শুভ কামনার জন্য তৈরি করা হয়। আইন মানুষকে যেমনি শান্তিতে রাখে, তেমনি আশঙ্কা জাগায়। ভয়ঙ্কর শঙ্কাও জাগায়। আইনকে আমরা কোন দিকে নিয়ে যাবো এটা সমাজের ইচ্ছা।

নোবেল জয়ী এ অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, আপনারা বিবেচনা করুন, দুর্নীতি দমন কমিশন আজকে একটি বিচারে বসলো, এটা সঠিক কারণে হয়েছে কিনা, সঠিকভাবে হয়েছে কিনা। এটা রেকর্ডেড। জাতির ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। এটার জন্য কি আমরা গর্ববোধ করবো, নাকি অপরাধ বোধ করবো।

ড. ইউনুস বলেন, আজকের এ ছবিটা আপনারা তুলে রাখুন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও বটতলার এটি একটি ঐতিহাসিক ছবি হয়ে থাকবে। নানান পত্র পত্রিকায় এটি প্রকাশিত হবে। যুগ যুগ ধরে নানান বইতেও এটা প্রকাশিত হবে। আপনারা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবেন। যারা সারাজীবন খেটে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে গেল তাদেরওকে মামলার আসামি করা হলো।

এর আগে এদিন দুপুর ২ টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজির হন। এরপর তিনি এজলাসে যান। এসময় তার পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় বিদেশি নানা নাগরিককে আদালতে হাজির হতে দেখা যায়।  এ মামলায় এদিন মূলত ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি জামিন চাইতে আসেন।

এ মামলার মামলার বাকি আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

আরো পড়ুন: জনপ্রিয় আলেম ও বক্তা মাওলানা লুৎফর রহমানের মৃত্যু

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ৯ মে আসামি ড. ইউনূস ও নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০৮ তম বোর্ড সভায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় একটা ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের একদিন আগেই ৮ মে খোলা হয় ব্যাংক হিসাবটি। এই হিসাব দেখানো আছে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকম বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটিতে ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করে। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ না জানিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন। তাই ২০২২ সালের ৩০ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App